গ্যালারি থেকে ভেসে এলো বাংলাদেশ, ‘বাংলাদেশ’ চিৎকার। এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য নতুন নয় সাকিব আল হাসানদের জন্য, তবে এই বিশ্বকাপের গল্প আলাদা।
শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ২৩০ রানের লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান করে ডাচরা।
শুরুতে নেদারল্যান্ডস ভালো করতে পারেনি। বাংলাদেশও দ্রুত পায় পায় সাফল্য। ৯ বলে ৩ রান করে বিক্রমজিৎ সিং ক্যাচ দেন তাসকিন আহমেদের বলে, সাকিব আল হাসানের হাতে। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও ডাউডকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
৩ বলে কোনো রান করার আগেই তার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে শরীর দূরে রেখে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দেন স্লিপে দাঁড়ানো তানজিদ হাসানের হাতে। শুরুর ওই ধাক্কা কিছুটা হলেও সামলে নেন ওয়েসলি বারেসি ও কলিন অ্যাকারম্যান। কিন্তু খুব লম্বা সময় চালিয়ে নিতে পারেননি তারা।
এ দুজনের ৫৯ রানের জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৮ চারের ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করা এই ব্যাটার ক্যাচ দেন সাকিব আল হাসানের হাতে। পরের ওভারে এসেই ৩৩ বলে ১৫ রান করা কলিন অ্যাকারম্যানকে আউট করেন সাকিব, এবার ক্যাচ নেন মোস্তাফিজ।
দুজনের বিদায়ের পর ডাচদের হাল ধরেন স্কট এডওয়ার্ডস। তার দুটি ক্যাচ ছাড়েন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ ক্যাচ ছাড়ে পরেও। এই ফাঁকে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এডওয়ার্ডস। ৬ চারে ৮৯ বলে ৬৮ রান করা এই ব্যাটার আউটও হন ক্যাচ দিয়েই। মোস্তাফিজুর রহমানের ওয়াইড ইয়র্কারে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ দেন তিনি, সেটি ধরতে ভুল করেননি মেহেদী হাসান মিরাজ।
তার সঙ্গী হিসেবে থাকা সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে ৬১ বলে ৩৫ রান করার পর এলবিডব্লিউ করেন মাহেদী হাসান। শেষ দিকে লোগান ফন বিকের ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে দুইশ পার করে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও মাহেদী হাসান শিকার করেন দুই উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এএইচএস