মেঘলা আকাশে রোদ হাসলো। চার সেশনের বিরতির পর মাঠে গড়ালো খেলা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। জবাবে ১৮০ রান করেছে কিউইরা।
পুরো একদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর মাঠ না শুকানোয় তৃতীয় দিনেও এক সেশন খেলা হয়নি। এরপর দুই স্পিনারকে দিয়ে শুরু করে বাংলাদেশ। গ্লেন ফিলিপস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ড্যারল মিচেল।
জুটি ভাঙতেমেহেদী হাসান মিরাজকে সরিয়ে নাঈম হাসানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সফলও হন তিনি। অবশ্য তাতে বড় ভূমিকা আছে মেহেদী হাসান মিরাজের। মিড অফ থেকে দৌড়ে এসে লং অনে ক্যাচ নেন তিনি। ৩৯ বলে ১৮ রান করে ফিরতে হয় ড্যারল মিচেলকে।
এই জুটি ভাঙার পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং থামাননি ফিলিপস। তবে পরের ওভারে এসে আরও এক উইকেট এনে দেন নাঈম। ৭ বলে ১ রান করে মিচেল স্যান্টনার এবার ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর হাতে।
এক প্রান্তে উইকেট গেলেও থামানো যাচ্ছিল না ফিলিপসকে। এবার শান্ত বোলিংয়ে আনেন একাদশে থাকা একমাত্র পেসার শরিফুল ইসলাম। তার বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন ২৮ বলে ২০ রান করা কাইল জেমিসন। ফিলিপসকেও পরে ফেরান শরিফুল। জেমিসনের মতো বলই তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কার ইনিংসে ৭২ বলে ৮৭ রান করেন তিনি।
পরের ওভারের প্রথম বলে সাউদিকে আউট করে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করেন তাইজুল। সবমিলিয়ে ১৬ ওভার এক বল হাত ঘুরিয়ে ৬৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। তিন উইকেট পান মিরাজও, নাঈম হাসান ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৫৯ ঘণ্টা, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
এমএইচবি