ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

২০০ রানের আগে আটকাতে পারলেই খুশি থাকবে নিউজিল্যান্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০২৩
২০০ রানের আগে আটকাতে পারলেই খুশি থাকবে নিউজিল্যান্ড

প্রথম দিনে ব্যাটারদের জন্য বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল পিচ। একদিনেই দুই দল মিলিয়ে হারায় ১৫ উইকেট।

মাঝে একদিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর তৃতীয় দিনে এসে ততটা কঠিন মনে হয়নি উইকেট। যদিও এদিন তিন ঘণ্টার খেলায় উইকেট পড়েছে সাতটি।  

তবে তাতে ফিল্ডারদের দুর্দান্ত কিছু ক্যাচের ভূমিকা আছে বেশ। এখন অবধি দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৩০ রানে। তাদের হাতে আছে আট উইকেট। খেলার বাকি আরও দুই দিন। কত লক্ষ্য হলে সেটি তাড়া করা সম্ভব হবে? 

উত্তরে শুক্রবার গ্লেন ফিলিপস বলেন, ‘আমাদের কঠিন একটা শুরু ছিল প্রথম ইনিংসে, বাংলাদেশের ছেলেরা দারুণ কিছু ক্যাচও নিয়েছে; যেটা আমাদের কিছুটা দ্রুত পিছিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় যদি পিচ বদলে না যায়, কাভারে ঢাকা থাকার কারণে এটা এরকমই থাকার কথা পুরো ম্যাচজুড়ে। ’

‘তাহলে আমি বলবো হয়তো ১৮০-২০০ এর কাছাকাছি যেকোনো কিছু ভালো রান, তাড়া করা কঠিন হবে। করা হয়তো অসম্ভব না কিন্তু করতে অনেক কষ্ট করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনায় খুব ভালোভাবে স্থির থাকতে হবে। কিন্তু যদি আমরা সেটাকে ২০০ এর নিচে রাখতে পারি, খুব খুশি হবো। ’

৫৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে বাংলাদেশের ১৭২ রান পেরিয়ে প্রথম ইনিংসে কিউইরা লিড পেয়েছে ৮ রানের। তাতে গ্লেন ফিলিপসের কৃতিত্বই বেশি। ৯চার ও ৪টি ছক্কায় ৭২ বলে ৮৭ রান করেন তিনি।  

শরিফুলের বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের হাতে গেলে আউট হয়ে যান ফিলিপস। আউটের পর আম্পায়ারকে কিছু একটা নিয়ে অসন্তোষ জানান কিউই ব্যাটার। দিনের খেলা শেষে তিনি জানান, সাইট স্ক্রিনের সামনে চলে আসেন কেউ একজন।

ফিলিপস বলেন, ‘যখন শরিফুল তার বোলিং দাগের কাছাকাছি আসে, তখন একজন সাইট স্ক্রিনের সামনে চলে আসে। আমার সরে যাওয়া উচিত ছিল, এটা আমার মাথাতেও ছিল। কিন্তু তখন হয়তো কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। আমি এরপর বল দেখিনি আর সরেও যাইনি; এরপর বল ব্যাটে লেগে যায়। ’ 

‘আমার পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সম্ভব বল ব্যাটে খেলা। ব্যাট হাতে প্রভাব রেখে যাওয়া। বুঝতে পারছিলাম তারা ভালো বল করবে। আমি প্রতিআক্রমণে কী করতে পারি সেটাই করতে চাইছিলাম। আমার মনে হয় যতটা সম্ভব আমার খেলার পরিকল্পনায় স্থির থাকতে চাইছিলাম। ’

‘এটাও মেনে নিয়েছিলাম কিছু বল টার্ন করবে আর বাউন্সে অসমতা থাকবে, ওগুলোতে ধরা দেওয়া যাবে না। আর চেষ্টা করছিলাম যতটা সম্ভব শান্ত থাকতে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।