ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ২০১৪ সালে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছিল ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে পুনর্বিবেচনার পর আজ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল।
আজ এক বিবৃতিতে ইসিবির ক্রিকেট ডিসিপ্লিন কমিশন জানায়, সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুশোচনা, অনুতাপ ও যেখানে সম্ভব নিজেকে সংশোধনের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার বাধ্যতামূলক প্রমাণ দেখানোর পর ভিনসেন্টের আজীবনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলো।
৯ বছর আগে ভিনসেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বিরোধীর ১১টি ধারা ভঙ্গ করার প্রমাণ পায় ইসিবি। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সাসেক্সে থাকার সময় ও ২০১১ চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে বেশ কয়েকবার স্পট ফিক্সিং করেন তিনি। সেই অভিযোগ স্বীকার করে এক খোলাচিঠিতে নিজেকে প্রতারক হিসেবে অ্যাখ্যায়িত সাবেক এই ব্যাটার।
গত আগস্টে ইসিবির কাছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন জানান ভিনসেন্ট। তার বয়স এখন ৪৫। তাই পেশাদার ক্রিকেটে ব্যাট-প্যাড হাতে নেমে যাওয়ার সুযোগ খুব একটা নেই। তবে ক্রিকেটে ফিরতে পারার খবরটাই স্বস্তি এনে দিচ্ছে তার মনে।
ভিনসেন্ট বলেন, 'অনেক বছর আগে আমি গুরুতর এক ভুল করে বসি। যার জন্য আমি আজীবনের জন্য গভীরভাবে অনুতপ্ত। যে ক্ষতি আমি করেছি তার জন্য খুবই দুঃখিত। ক্রিকেটীয় পরিবেশে ফিরতে পারাটা আমার কাছে খুবই আনন্দের এবং আবারও সেই সুযোগ পেয়ে নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি। '
ভিনসেন্ট সবশেষ পেশাদার ক্রিকেট ছিলেন ২০১৩ সালের বিপিএলে। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে খেলার সময় ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব আসে তার কাছে। তবে সেই কথা আইসিসিকে না জানানোয় তাকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় বিসিবির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এএইচএস