নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে দারুণ এক জয় পায় বাংলাদেশ। পরে ঢাকা টেস্টেও লড়াই করছিল তারা।
সেটি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে মুশফিকের বিরুদ্ধে ‘ফিক্সিংয়ের সন্দেহ’ করে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি হয়। এ নিয়ে আইনি নোটিশও পাঠান মুশফিক। এবার এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
শনিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জিনিস বদলাচ্ছে। একটা সময় ছিল মিথ্যা কিছু তথ্য দিলেই আপনার মানুষ বেশি খেতো। এটা একটা গ্রহণযোগ্য ছিল। আপনারা তো সাংবাদিক, খোঁজ নিয়ে দেখেন; এ সমস্ত মিথ্যাচার করতে করতে আস্তে আস্তে মানুষ কিন্তু উল্টা কথাও বলছে যে এরা তো ক্রিকেটকে ধ্বংস করার জন্য নামছে। ধারাবাহিকভাবে। আমরা জানি এটা। আমরা এটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। জানুক, তারপর বিসিবির যা করার তা তো করবেই। ’
এমন প্রতিবেদন অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ছেলেকে নিয়েও এমন সন্দেহ করা হয়। এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘শুধু তা না, তাকে আমরা ইন্টার্ন করতে দিয়েছি। ’
এরপর নিজেদের দায় স্বীকার করে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সমস্যাটা হয়েছে এখানে একাধিক। আমি শুধু মিডিয়াকে দোষ দিচ্ছি না। আগে একটা সময় আমি আরও অনেক বেশি জড়িত ছিলাম এ সমস্ত ব্যাপারে। এই সাত-আট মাস আমি যখন এটা বন্ধ করেছি, আসলে বিসিবির যোগাযোগটাও বন্ধ হয়ে গেছে। বিসিবি থেকে কেউ কথা বলছে না। একেকজন হয়তো নিজের মত দিচ্ছে, কিন্তু বিসিবিকে প্রতিনিধিত্ব করছে না। ’
‘আমি কালকে উনাদের সঙ্গে বসে বলেছি কী হলো আপনারা চুপচাপ বসে আছেন কেন। আমি নাই, কাউকে তো বলতে হবে। এটা একটা কারণ। কিন্তু যে কয়টা আমি অনেক দিন ধরে দেখছি, ডাহা মিথ্যা। ’
বিসিবির উদারতা কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উদারতা না। বাস্তবতা মানুষের কাছে স্পষ্ট এমনিতে হয়ে যাচ্ছে। আপনারা হয়তো একটা গ্রুপকে দেখছেন, আমাদের কাছে অন্যান্য গ্রুপরা নিয়মিত পাঠাচ্ছে। সবকিছুর একটা সীমা আছে, যখন সেটা অতিক্রম করে যায় তখন মানুষ বোঝে এটা সাংবাদিকতা নাকি অন্য কিছু। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস