ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

যখন ব্যাটিং করি, মনে হয় না আমি অধিনায়ক: শান্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
যখন ব্যাটিং করি, মনে হয় না আমি অধিনায়ক: শান্ত

স্মরণীয় এক সিরিজের সমাপ্তিই হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর জন্য। আগেও তিন ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তবে সিলেটেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো পান টেস্ট অধিনায়কত্বের স্বাদ। সেটিকে দারুণভাবে রাঙিয়েও রেখেছেন তিনি।  

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সাদা পোশাকের নেতৃত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করেন তিনি। দলও পায় দারুণ এক জয়। ঢাকায় অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসে করেছেন ৯ ও ১৫ রান। তবে অধিনায়কত্ব তার ব্যাটিংয়ে কোনো প্রভাব ফেলে না বলেই জানিয়েছেন শান্ত।  

তিনি বলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করি, তখন আমার মনে হয় না আমি অধিনায়ক। সত্যি কথা, আমার একবারের জন্যও মনে হয় না যে কয়টা ম্যাচ অধিনায়কত্ব করেছি এখন পর্যন্ত। এভাবে করে যেতে পারলে খুবই ভালো। আমার কাজ ব্যাটিংয়ের পরে যখন মাঠে ঢুকি, তখন মাঠের বাইরে আমার কী পরিকল্পনা, তখন সেগুলো করার চেষ্টা করি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে আমার এখন পর্যন্ত মনে হয় না যে আমি অধিনায়ক, আমাকে আলাদা কোনো কিছু করতে হবে। ’

অধিনায়কত্ব মানে শুধু মাঠের ব্যাপার নয়, মাঠের বাইরের অনেক কিছুও সামলাতে হয়। এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তো অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। সামনে যদি সুযোগ আসে, তাহলে এ অভিজ্ঞতাগুলো আরও হবে। ওভাবে পরিকল্পনা করা যাবে। ’ 

টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শান্তর প্রথম সিরিজ বাংলাদেশের জন্যও বেশ ভালো কেটেছে। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে যাওয়ায় সিরিজটি জেতা হয়নি। তবে এই ম্যাচেও লম্বা সময় ধরে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। দলকে নিয়ে গর্বিত শান্তও।  

তিনি বলেন, ‘আমি খুবই গর্বিত। প্রথম ম্যাচটা খুবই ভালো খেলেছি আমরা, দ্বিতীয় ম্যাচটায় সবার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খুব ভালো ছিল। ১৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল, তারপর বোলাররা যেভাবে চেষ্টা করেছে; তাতে আমি বেশ খুশি। উন্নতির জায়গা আছে, ব্যাটিংয়ে আরেকটু ভালো আমরা কীভাবে করতে পারি... এই জায়গাটায় একটু ঘাটতি আছে। ’ 

‘আমি বলবো না আমাদের উন্নতি হচ্ছে না, এখানে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা একদমই নতুন। কিন্তু দেখে কারও মনে হয়নি এমন নার্ভাস বা টেনশন ফিল করছে। সবাই দলের জন্য খেলার চেষ্টা করেছে। তো এই দিকগুলা ইতিবাচক ছিল। ’

এবারের টেস্ট ম্যাচ খেলার আগে খুব একটা আলোচনায় ছিল না মাঠের ক্রিকেট। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বেশ কয়েকজন বড় ক্রিকেটারকে ছাড়াই বাংলাদেশের এই সিরিজে মাঠে নামতে হয়। শেষ অবধি তাদের নিয়েই ভালো করেছেন শান্ত। এখন কি এদের নিয়েই সামনে এগোনো উচিত? 

শান্ত বলেন, ‘এই খেলোয়াড়দের ক্যারি করার বিষয়টা নির্বাচকদের। এখানে যে খেলোয়াড়রা ছিল, অ্যাপ্রোচ খুবই ভালো, সবার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খুব ভালো ছিল। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, সবাই জিততে চাইছে দুইটা ম্যাচেই। তো এদিক থেকে ভাবলে খুবই খুশি যে ওরা সবাই মিলে একসাথে দল হিসেবে আমরা খেলতে চেয়েছি তো ভবিষ্যতে যদি আমরা এই দলটা নিয়ে এগোতে পারি তাহলে আশা করছি যে টেস্ট দলটা আরও ভালো জায়গায় যাবে। ’ 

‘ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যেটা বললেন, ওখানে আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যে আমরা ওখানে কীভাবে ম্যাচ জিততে পারবো। সিরিজ জিততে পারি। ওরকমই লক্ষ্য হওয়া উচিত। বছরটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি তাহলে সামনের বছরের জন্য ভালো হবে। ’

বাংলাদেশ সময় : ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।