বিশ্বকাপের পর থেকেই টালমাটাল সময় কাটছে পাকিস্তানের। অধিনায়ক, কোচ, নির্বাচক- সবকিছুতেই পরিবর্তন আনে তারা।
ঘাসের উইকেটে পাকিস্তানের তিন পেসারের মধ্যে দুইজনে অভিষেক হয়েছে আজই। কিন্তু প্রথম সেশনে কেউই ওয়ার্নারের ব্যাটিংয়ের সামনে জবাব তৈরি করতে পারেননি। তাই কোনো উইকেট না হারিয়েই ১১৭ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে সঠিক চ্যানেলে বল করতে থাকেন শাহিন আফ্রিদি। তাতে চাপে পড়ে যান উসমান খাজা। বাঁহাতি এই ওপেনারের বিদায়ে ভাঙে ১২৬ রানের জুটি। উইকেটের পেছনে থাকা সরফরাজ আহমেদকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪১ রান করেন তিনি। এরপর মার্নাস লাবুশেনও (১৬) থিতু হওয়ার সুযোগ পাননি।
প্রথম বল থেকে আগ্রাসী খেলা ওয়ার্নার লাঞ্চের পর কিছুটা ধরে খেলতে থাকেন। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে জুটি বেঁধে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২৬তম শতক। চুপ করিয়ে দেন সমালোচকদের।
চা-বিরতির পর খুররাম শেহজাদের বলে স্মিথ (৩১) আউট হলে ভাঙে ৭৯ রানের জুটি। এরপর ট্রাভিস হেডও বড় জুটি করার চেষ্টা করেন ওয়ার্নারের সঙ্গে। কিন্তু তা ভেঙে যায় ৬৬ রানেই। তবে ৫৩ বলে ৬ চারে ৪০ রানে ছোটখাট এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যান হেড।
সেঞ্চুরির পর ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছুটতে থাকেন ওয়ার্নার। ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার থামতে হলো ২১১ বলে ১৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১৬৪ রান করে। আমির জামালের শর্ট ডেলিভারিতে হুক করতে গিয়ে ধরা পড়েন ইমাম উল হকের হাতে।
শেষ সেশনে তিন উইকেট নিলেও অজিদের রানের গতি আটকাতে পারেনি পাকিস্তান। মিচেল মার্শ ১৫ ও অ্যালেক্স ক্যারি ১৪ রানে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এএইচএস