ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বৃষ্টি বাধার পর ল্যাথাম-ইয়াং ঝড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
বৃষ্টি বাধার পর ল্যাথাম-ইয়াং ঝড়

বারবার বৃষ্টিতে বন্ধ হলো খেলা। দফায় দফায় কমে এলো ওভারও।

বোলার ব্যবহার নিয়ে তাতে বিপত্তিতে পড়লো বাংলাদেশ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠলেন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। প্রথমজন না পারলেও দ্বিতীয়জন পেয়ে যান সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের সামনেও এখন বেশ ভালো লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।  

ডানেডিনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে  ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করেছে স্বাগতিকরা। তবে ডিএলএস মেথডে ৩০ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৪৫ রান।  

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন শরিফুল ইসলাম। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করা রাচিন রবীন্দ্র আউট হয়ে যান কোনো রান করার আগেই। শরিফুলকে প্রথম বলে চার মেরে শুরু করেন উইল ইয়াং। পরের বলে প্রান্ত বদল হয়।

স্ট্রাইকে এসে প্রথম বল ছেড়ে দেন রাচিন। এরপর অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল ব্যাটে কানা ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে যায়। এক বল বিরতি দিয়ে শরিফুল উইকেট নেন আরও একটি। এবার অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ডিফেন্ড করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন হেনরি নিকোলস। প্রথম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫ রান করে নিউজিল্যান্ড।  

এরপর উইল ইয়াং ও টম ল্যাথামের জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলে। মাঝে আরেক দফা বৃষ্টিতে ম্যাচ চলে আসে ৪০ ওভারে। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলেও জুটি ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। এই জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। দুজনই হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন। এর মধ্যেই বৃষ্টি আসে আবার।  

এ দফায় প্রায় ঘণ্টাখানেক খেলা বন্ধ থাকার পর ম্যাচ চলে আসে ৩০ ওভারে। তাতে বাংলাদেশ পড়ে যায় বিপত্তিতে, একজন বোলার করতে পারবেন সর্বোচ্চ ৬ ওভার। হাসান মাহমুদ সেটি করে ফেলেন আগেই, শরিফুল ও মোস্তাফিজুর রহমানের বাকি ছিল এক ওভার। বাংলাদেশকে তখন ভরসা করতে হয় সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজদের ওপর।

তাদের ওপর চড়াও হন ল্যাথাম-ইয়াং। বৃষ্টির পরে ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসে দুই ছক্কাসহ ১৩ রান আসে। পরের ওভারে মিরাজ ১০ ও এরপর আবার এসে সৌম্য টানা ৩ চারসহ দেন ১৫ রান। বাধ্য হয়ে বোলিংয়ে শরিফুলকে নিয়ে আসেন অধিনায়ক শান্ত। দিনের সফল পেসারও দেন ১০ রান।  

পরের ওভারে নিয়ে আসা হয় আফিফ হোসেনকে। কিন্তু তাকেও স্বস্তি দেননি ল্যাথাম-ইয়াং জুটি। ওই ওভারে দুই ছক্কাসহ আসে ১৫ রান। এই জুটি যখন ক্রমেই ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে, এর মধ্যে ল্যাথামকে আউট করে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন মিরাজ। শুরুতে স্লিপে ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে ভালোভাবেই আঘাত করেন তিনি।  

মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তুলে মারতে গিয়ে ব্যাট হয়ে পায়ে লেগে বল স্টাম্পে যায়। এর আগে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ বলে ৯২ রান করেন তিনি। ইয়াংয়ের সঙ্গে ১৪৫ বলে ল্যাথামের জুটি ছিল ১৭১ রানের। পরে চাপম্যানের সঙ্গেও ২২ বলে ঝোড়ো ৫৪ রানের জুটি গড়েন ইয়াং।  

দুই ব্যাটারই হন রান আউট। তার আগেই অবশ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ‍তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে ফেলেছেন ইয়াং। ১৪ চার আর ৪ ছক্কার ইনিংসে ৮৪ বলে ১০৫ রান করে ফেলেন তিনি। শেষ ওভারে তিন রান আউটে ২৩৯ রানে থামে নিউজিল্যান্ড।

বাংলাদেশ সময় : ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।