খেলা শুরুর আগেই বৃষ্টিতে কাটা গিয়েছিল ৩ ওভার। এরপর দুই দফায় বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে আসে ৩০ ওভারে।
বাধ্য হয়েই তাই দ্বিতীয় দফায় খেলা শুরু হওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেনকে দিয়ে বল করাতে হয় শান্তকে। তখন বোলারদের ওপর চড়াও হন টম ল্যাথাম ও উইল ইয়াং। শেষ ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড তোলে ১২৮ রান। ম্যাচশেষেও এই বাস্তবতা তুলে ধরেছেন দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা এনামুল হক বিজয়।
তিনি বলেন, ‘আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, কার্টেল ওভার যখনই হয় তখন কিন্তু মেইন বোলারদের বোলিংয়ে গিয়ে একটু সমস্যা হয়ে যায়। শরিফুল-মোস্তাফিজ কিন্তু পরের দিকে গিয়ে বোলিং করতে পারেনি। কারণ একজন বোলার ৬ ওভারের বেশি করতে পারবে না। ’
‘সেখানে আমাদের অকেশনাল (পার্টটাইম) বোলারদের দিয়ে চালাতে হয়েছে। হয়তো কয়েকজনের ওভার থাকলে আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারতাম। এখানেই একটু সমস্যা হয়েছে, বাতাস ছিল, স্পিনারদের দিয়ে চালাতে হয়েছে। ’
ব্যাটিংয়ে নেমে মাঝেমধ্যে আশা জাগালেও শেষ অবধি আর পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। বিশেষত স্বাগতিক বোলারদের বাড়তি বাউন্সে খাবি খেয়েছে তারা। বিজয়ও আউট হয়েছেন বাউন্সারে। ম্যাচশেষে এ নিয়েও কথা বলেছেন বিজয়।
তিনি বলেন, ‘দেখেন ওদের পেসারদের উচ্চতা কিন্তু অনেক। যখন ওরা বল করে তখন এমনি এমনি একটা বাড়তি সুবিধা পায় বাউন্সের ক্ষেত্রে। যেটা আমরা স্বাভাবিকভাবেই খেলে অভ্যস্ত না। আশা করি দ্রুত এটা মানিয়ে নেব, কারণ আরও দুই দিন অনুশীলনের সুযোগ আছে। আমরা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করব, চিন্তা করব কিভাবে খেলা যায়। আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ আছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৪৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস