ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

জিতলে সেঞ্চুরিটা স্পেশাল মনে হতো: সৌম্য

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
জিতলে সেঞ্চুরিটা স্পেশাল মনে হতো: সৌম্য

প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত এক গল্প লিখেছেন সৌম্য সরকার। তার অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে দল পেয়েছিল লড়াই করার মতো পুঁজি।

কিন্তু বাকি ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের ব্যর্থতায় নিউজিল্যান্ডের সহজ জয় আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। নিজে সেঞ্চুরি পেলেও তাই হতাশ ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলা সৌম্য। তার মতে, ম্যাচটা জিতলে তার সেঞ্চুরিটাও স্পেশাল হতো।  

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের ব্যাটারদের মধ্যে একাই অর্ধেকের বেশি রান করেন সৌম্য। আগের ম্যাচে সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হওয়া সৌম্য এই ম্যাচে ১৫১ বলে ১৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ২২ চার ও ২ ছক্কায়। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের দুই ব্যাটার উইল ইয়াং (৮৯) এবং হেনরি নিকোলস (৯৫) সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও ২২ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে কিউইরা। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টানা দুই জয়ে সিরিজ ঘরে তুলেছে স্বাগতিকরা।  

ম্যাচের দ্বিতীয় ভাগের আগ পর্যন্ত অবশ্য সবটাই ছিল সৌম্যময়। ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ারে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে যখন আউট হন, তখনও অনেক রেকর্ড তার নামের পাশে। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা লিটন দাসের ১৭৬ রানের ইনিংসের পর দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে ইনিংস এখন সৌম্যের। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো এশিয়ান ব্যাটারেরও সর্বোচ্চ রানও তার ১৬৯। আগেরটি ছিল ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান।  নিজের ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে ফেলার পর আউট হন সৌম্য। তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৪৯।

এমন দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সৌম্য। পুরস্কার হাতে নিয়ে এই বাঁহাতি ওপেনার বলেন, 'প্রথম কয়েক ওভারে একটু সময় নিয়েছিলাম। সেঞ্চুরি পেয়ে খুশি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা হেরে গেছি। জিতলে এটা স্পেশাল হতো। '

বাংলাদেশের ইনিংসের একটা পর্যায়ে ৪৪ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়। এরপর চতুর্থ উইকেটের পতন হয় দলীয় ৮০ রানে। তবে তবে একপ্রান্তে ঠিকই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। শেষ অবধি এসে একজন ভালো সঙ্গীও পেয়ে যান তিনি। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে মিলে দলের বিপর্যয় সামাল দেন সৌম্য। এ দুজনের জুটিতে ১০৮ বলে আসে ৯১ রান। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে এই জুটি ভাঙে। পরে সঙ্গী বদলালেও সৌম্যর রানের গতি থামেনি।

মুশফিকের পর আশা জাগিয়ে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৯)। ফলে স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে তখন সৌম্য একাই ক্রিজে ছিলেন। দলের রান বড় না হওয়ার পেছনে মুশফিক ও মিরাজের 'ভুল' সময়ে বিদায়ের কথা উল্লেখ করলেন সৌম্য, 'মুশফিক ও মিরাজের সঙ্গে ভালো জুটি গড়ে উঠেছিল। কিন্তু তারা ভুল সময়ে আউট হয়ে যায়। তারা যদি ওভাবে আউট না হতো, তাহলে সংগ্রহ আরও বড় হতো। '

আগামী ২৩ ডিসেম্বর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।