দলের বাকি ব্যাটারদের কেউ করতে পারলেন না হাফ সেঞ্চুরিও। মাহমুদুল হাসান জয় পেলেন সেঞ্চুরি, তাতে দলও পেলো জয়।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উত্তরাঞ্চলকে ৬২ রানে হারিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল। শুরুতে ব্যাট করে ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল, তারা করে ২৭৯ রান। জবাব দিতে নেমে ৪০ ওভার ৫ বল ব্যাট করে ২১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় উত্তরাঞ্চল।
পঞ্চিমাঞ্চলের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১২৮ বলে ১১২ রান করেন মাহমুদুল হাসাান জয়। আর কোনো ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরিও ছুতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করতে ৩১ বল খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ইরফান শুক্কুর ৩৩ বলে ২৯ ও ২৬ বলে ২৫ রান করেন মুমিনুল হক। উত্তরাঞ্চলের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা, নাহিদুল ইসলাম ও তাইবুর রহমান।
রান তাড়ায় নেমে বড় কোনো জুটি গড়ে তুলতে পারেনি উত্তরাঞ্চল। এমনকি কোনো ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান প্রীতম কুমার ৫১ বলে ৪৬ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন ৫৪ বলে ৪০ রান করেন। তাদের দুজনকেই ফেরান রেজাউর রহমান রাজা। তাদের বাইরে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে আকবর আলীর ব্যাটে। ৩১ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। রেজাউর রহমান রাজা তিনটি ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাসুম আহমেদ, নাঈম হাসান দুই উইকেট করে নেন।
দিনের আরেকটি ম্যাচ হয়েছে লো স্কোরিং। সেখানে দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে মধ্যাঞ্চল। শুরুতে ব্যাট করে ১৬৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। ওই রান তাড়া করতে ৪৯ ওভার ২ বল খেলে মধ্যাঞ্চল।
মধ্যাঞ্চলের ব্যাটাররা এদিন কেউই বড় রান করতে পারেননি। নয় নম্বরে নেমে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানো সোহাগ গাজী দলের রান নিয়ে যান দেড়শ ছাড়িয়ে। ৫৪ বলে ৫৭ রান করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ বলে ২১ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে তিন উইকেট করে নেন নাজমুল ইসলাম অপু ও শুভাগত হোম চৌধুরী।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি আফসোসে পুড়েছিলেন মধ্যাঞ্চরের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তবে জিতিয়েছিলেন দলকে। এ ম্যাচেও সেটি করেছেন তিনি। ১৩৬ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে ২৪ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার রনি। ৭২ বলে ৩২ রান করেন সাইফ। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ১০ ওভারে স্রেফ ১৩ রান দিযে তিন উইকেট নিয়ে মধ্যাঞ্চলকে চাপে ফেলেছিলেন হাসান মুরাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ