১৪৬ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ২০০ বা এর বেশি উইকেট শিকার করেছেন ৮২ জন বোলার। কিন্তু এর মধ্যে ব্যতিক্রমী রেকর্ডটি আছে শুধু কাগিসো রাবাদার।
সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। সেই বাভুমা এখন ম্যাচের বাকি অংশটুকু খেলতে পারবেন কি না অনিশ্চিত। ফিল্ডিং করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান তিনি। তাই সকালের সেশনেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। বাভুমার ইনজুরি অবশ্য প্রোটিয়াদের খেলায় খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।
ম্যাচ শুরুর পঞ্চম ওভারেই ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে তুলে নেন রাবাদা। ৫ রান করা রোহিত যার হাতে ক্যাচ দেন সেই নান্দ্রে বার্গার সাজঘরে ফেরান আরেক ওপেনার যশস্বী জসওয়ালকে। ২৩ রানের ভেতরই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। আর এক রান যোগ হতেই শুবমান গিলকে শিকার করেন বার্গার।
এরপর রাবাদার ঝোড়ো বোলিংয়ে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন আরও চার ব্যাটার। ইনিংসের শুরুতেই নতুন জীবন পাওয়ার পর থিতু হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু রাবাদার দুর্দান্ত আউট সুইঙ্গারের কাছে নিজেকে সামলাতে পারেননি তিনি। উইকেটের পেছনে থাকা কাইল ভেরেইনার হাতে ধরা পড়ার আগে ব্যক্তিগত সংগ্রহে জমা করেন ৩৮ রান।
কোহলির মতো জীবন পেয়েছিলেন শ্রেয়াস আইয়ারও। দুজনে মিলে গড়েন ৬৮ রানের জুটি। কিন্তু রাবাদার ওবল সিম ডেলিভারিতে নিজের স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন আইয়ার, ফেরেন ৩১ রানে। রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও শার্দূল ঠাকুরকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রাবাদা। ২৮ বছর বয়সী এই পেসার ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দেখা পেলেন ফাইফারের। একইসঙ্গে শার্দুলকে তুলে নিয়ে ঢুকে যান ৫০০ উইকেটের ক্লাবে।
ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মাঝে লড়াই চালিয়ে যান কেবল রাহুল। ৮ মাস পর সাদা পোশাকে ফেরার মঞ্চটা বেশ ভালোভাবেই রাঙাচ্ছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। বৃষ্টির আঘাত হানার আগপর্যন্ত ১০৫ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রান করেন তিনি। কাল সেখান থেকেই নতুন দিনের খেলা শুরু করবেন তিনি। কেননা ৫৯ ওভারের পর আসা সেই বৃষ্টি আর থামার নামই নেয়নি! যে কারণে অনেকটা আগেভাগেই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা। রাহুলের সঙ্গে শূন্য রানে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ সিরাজ। প্রোটিয়াদের হয়ে দিনের বাকি উইকেটটি নেন মার্কো ইয়ানসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
এএইচএস