হাতে বৈঠা আর মুখে ‘নৌকা’, ‘নৌকা’ স্লোগান নিয়ে কালিকাপ্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আসছেন হাজারো নেতা-কর্মী। তাদের কণ্ঠে আছে, ‘পাপন ভাই’, ‘পাপন ভাই’ স্লোগানও।
ক্রিকেটের জন্য দেশজুড়ে পেয়েছেন পরিচিতি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। পাপন কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্যও। ক্রিকেট মাঠ নাকি রাজনীতি, কোনটি বেশি কঠিন?
এমন প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার কিশোরগঞ্জে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠ কঠিন। এটার সঙ্গে কোনো তুলনা হয় না। এটা অনেক অনেক কঠিন। ’
একই আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন পাপনের বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পাপন। কিন্তু শুরুর সময়ে রাজনীতিতে আসতেই চাননি তিনি। যদিও এখন মানুষের ভালোবাসায় উপভোগই করেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আমি জীবনে কখনো চিন্তাই করিনি রাজনীতি করবো। এটা হলো সত্য কথা। আসলে আমার কোনো ধারণাই ছিল না রাজনীতিতে আসবো, আমি সবসময় ভাবতাম কখনোই আসবো না। আরেকটা জিনিস মনে হতো যে রাজনীতিটা খুব সহজ। আসলে আসার পর এখন বুঝলাম এটা তো অনেক কঠিন। এটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। তবে এবার ধরেন যেমন প্রতিটা ওয়ার্ডে গিয়েছি, ৬৩টা ওয়ার্ডেই আমি গিয়েছি। ’
‘গণসংযোগগুলো আগেই শেষ করেছি। এখন খালি জনসভাগুলো হচ্ছে প্রতিটি ইউনিয়নে। একদিন ভৈরব, একদিন কুলিয়ারচর। আমি জনসভাগুলো করছি। একটা করে জনসভা প্রতিটি ইউনিয়নে। ওয়ার্ডগুলো ঘুরে ঘুরে যেটা দেখেছি, মানুষের যে ভালোভাসা এটা আসলে অন্যরকম। এটা আমাকে আসলে অনেক উৎসাহিত করছে। এখন ভালো লাগছে। আমি এতদিন কখনো ভৈরবে ছিলামই না। এই যে টানা এতদিন ধরে আছি, এর আগে কখনো ছিলামই না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম