ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

যে কারণে লেগ স্পিনার বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
যে কারণে লেগ স্পিনার বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওয়ানডে সংস্করণের এবার আসরের শুরুটা হয়েছে কক্সবাজারে। এরপর শনিবার ফাইনাল হচ্ছে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

এই টুর্নামেন্টে চারটি দলেই রাখা হয়েছে একজন করে লেগ স্পিনার।

উত্তরাঞ্চলে আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলে ওয়াসি সিদ্দিক, মধ্যাঞ্চলে জিহাদুল হক জিহাদ ও পূর্বাঞ্চলে মেহেদি হাসান সোহাগ ছিলেন স্কোয়াডে। তাদের একাদশে খেলানোর নির্দেশনাও ছিল বিসিবির পক্ষ থেকে। কেন এমন সিদ্ধান্ত? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই একজন লেগ স্পিনারের খোঁজ করছি। অন্যান্য টুর্নামেন্টে আমরা একাদশে এত ভূমিকা রাখতে পারি না। তবে বিসিবির টুর্নামেন্টে আমাদের কিছুটা ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে। আমি বিশ্বাস করি, শুধু অনুশীলন করে লেগ স্পিনার তৈরি করা খুব মুশকিল। লেগ স্পিনার তৈরি করতে হলে ম্যাচ খেলাতে হবে। সেজন্য আমরা একটা ম্যাচে (লেগ স্পিনার খেলানো) বাধ্যতামূলক করেছিলাম। ’ 

‘বাকিগুলোতে কোচ যদি মনে করেন, তাদের (লেগ স্পিনার) পারফরম্যান্স ভালো, তাহলে খেলাতে পারেন। আমি কক্সবাজারে যে ম্যাচগুলো দেখেছি, সেখানে কিন্তু আমার কাছে ভালোই মনে হয়েছে। তাদের যদি খেলানোর সুযোগ দেই এবং যথাযথ ব্যবহার করি... লেগ স্পিনারদের কিন্তু বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যবহার করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ’

বিসিএলের উইকেসংগ্রাহকের তালিকায় অবশ্য সেরা দশেও জায়গা করে নিতে পারেননি কোনো লেগ স্পিনার। ওয়াসি সিদ্দিকীর দুই ম্যাচে দুই উইকেটই সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স। তবুও দায়িত্ব নিয়ে তাদের খেলাতে হবে বলে মনে করেন হাবিবুল।  

এই নির্বাচক বলেন, ‘আমাদের কোচ যারা আছেন ও অধিনায়কত্ব যারা করেন, তাদের সাহায্য লাগবে। আমরা যতই চেষ্টা করি, তারা যদি সাহায্য না করেন, তাহলে লেগ স্পিনার উঠিয়ে আনা খুব কষ্ট হবে। যেটুকু ম্যাচ তারা খেলেছে, আমি বলব না তারা খুব সফল। ’ 

‘তবে আমার মনে হয়েছে, তারা যদি নিয়মিত খেলার সুযোগ পায়, প্রভাব ফেলতে পারবে। দুই-একটা ইনিংসে কিন্তু আমি দেখেছি, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট এনে দেওয়া, একটু রান বাঁচিয়ে দেওয়া কিংবা প্রভাব রাখা। তারা যদি নিয়মিত সুযোগ পায়, তাদেরকে ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে দেখতে পারব। ’

এদিকে জাতীয় দলে অনেকদিন পর লেগ স্পিনার জায়গা মিলেছে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩ ওভারে ২৪ রান দেন। পরেরটিতে ৩ ওভারে খরচ করেন স্রেফ ১০ রান। তার এমন পারফরম্যান্সে আশাবাদী হচ্ছেন নির্বাচক হাবিবুল। তিনি বলছেন ধৈর্য ধরার কথাও।

‘পরের ম্যাচে যদি রিশাদ ভালো নাও করে, তাও কিন্তু আমি হতাশ হবো না। আমার মনে হয়, সবাই যদি রিশাদের প্রতি এই ধৈর্য্যটা দেখাতে পারি, তাহলে কিন্তু রিশাদ ভালো করতে পারবে। গত ম্যাচে কিন্তু নিউ জিল্যান্ড উড়ন্ত সূচনা করেছিল। সেখানে রিশাদ আবার ম্যাচটা ফিরিয়ে এনেছে। লেগ স্পিনারের সৌন্দর্য্য এটাই। কোনো কোনো দিন অনেক রান দেবে। আবার কোনো দিন ম্যাচ জিতিয়ে দেবে। ’

‘লেগ স্পিনারদের ক্ষেত্রে এই ধৈর্য্যটা আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখাতে পারি না। রিশাদও খুব যে খেলার সুযোগ পায়, তা কিন্তু নয়। তবে আপনারাও দেখেছেন, সুযোগ পেলে সে যে কিছু করে দেখাতে পারে। আমাদের বাঁহাতি স্পিনার, অফ স্পিনার যারা আছে, তারা খুব নির্ভরযোগ্য। তবে লেগ স্পিনাররা অনেক সময় খেলাটা বদলে দেয়। তো ধৈর্য্য ধরাটা খুব জরুরি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।