জয়ের জন্য তখন কেবল এক রানই দরকার উত্তরাঞ্চলের। রেজাউর রহমান রাজা দিয়ে দিলেন ওয়াইড।
শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণের ফাইনালে পশ্চিমাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে উত্তরাঞ্চল। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৫ রান করে পশ্চিমাঞ্চল। ওই রান ৪৩ ওভার ৪ বলে তাড়া করে ফেলে উত্তরাঞ্চল। এটি বিসিএলের ওয়ানডে সংস্করণের তৃতীয় আসরে দ্বিতীয় শিরোপা দলটির। বাকি একবার জিতেছিল মধ্যাঞ্চল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পশ্চিমাঞ্চলের। শহিদুল ইসলামের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৈকত আলি। ৪ বলে তিনি করেন তিন রান। এরপর আরও দুই উইকেটও হারায় তাড়াতাড়িই। মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক দুজনকেই আউট করেন নাহিদ রানা। ২৫ বলে ১৬ ও ১৭ বলে ৮ রান করেন।
এরপরই দারুণ এক জুটি গড়েন পারভেজ হোসেন ইমন ও শাহাদাৎ হোসেন দীপু। দুজন মিলে যোগ করেন ১২২ রান। এই জুটিও ভাঙেন নাহিদ রানা। দারুণ খেলতে থাকা ইমন ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৯ বলে ৭৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। পরে নাসুম আহমেদ ও ইরফান শুক্কুরকে ফিরিয়ে ফাইফার পূর্ণ করেন তরুণ পেসার নাহিদ।
তবে সেঞ্চুরি তুলে নেন শাহাদাৎ হোসেন দীপু। কিছুদিন আগে টেস্ট অভিষেক হওয়া দীপু লিস্ট-এ তে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি করেও অপরাজিত থাকেন। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ বলে ১১৩ রান করেন। ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৫০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন নাহিদ।
বড় রান তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি উত্তরাঞ্চলেরও। ৮৮ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। তানজিদ হাসান তামিম ৪৬ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে। তবে এরপরই দারুণ এক জুটি গড়েন তাইবুর রহমান ও প্রীতম কুমার। দুজন মিলে যোগ করেন ১০০ রান।
৩০ বলে ২৪ রান করে আউট হন তাইবুর। এরপর আকবর আলি সঙ্গী হন প্রীতম কুমারের। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৮৬ বলে ৭৬ রান করে প্রীতম রান আউট হন। তার বিদায়ের পরও একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে সহজ জয় এনে দেন আকবর আলি। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ বলে ৫৩ রান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ