তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ জেমস অ্যান্ডারসন ৪১ বছর বয়সেও দিব্যি খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেমন ফর্মে ছিলেন তাতে হয়তো তাকে বাদ দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না নির্বাচকদের! কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রড মনের ইচ্ছেকেই বড় করে দেখলেন।
শেষটা যে এমন হবে, ব্রড নিজেও তা কল্পনা করতে পারেননি। ক্যারিয়ারের শেষ বলে উইকেট। কেবল স্বপ্নেই ভাবা যায় এসব! কিন্তু ব্রডের শেষটা ঠিক এমন বিস্ময়েরই জন্ম দিয়েছে। অবসরের মাস ছয়েক পর ডানহাতি এই পেসার জানালেন, চাইলে আরও দুই বছর খেলে যেতে পারতেন তিনি। কিন্তু বরাবরই চেয়েছেন চূড়ায় থেকে ক্যারিয়ারের ইতি টানতে। তাই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রড বলেন, 'নিজের কাছেও মনে হয়েছিল যে আমি আরও দুবছর খেলতে পারতাম। কিন্তু নিজেকে সংযত রেখে আমি চেয়েছি ইংল্যান্ডের জার্সিতে চূড়ায় থেকে শেষ করতে। সঠিক সময়ে যাওয়ার জন্য আমার চেষ্টা করতেই হতো। '
'এখন পর্যন্ত কোনো আক্ষেপ নেই। যা বলে দেয় এটি সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ আমার সতীর্থরা এখনো ইংল্যান্ডের হয়ে সাদা পোশাকে মাঠে নামেনি। তাই এমন মুহূর্ত আসেনি যা দেখে উপলব্ধি হবে, "আর এমনটা (হুট করে অবসর) করব না। " '
১৬৭ টেস্টে ৬০৪ উইকেট নিয়েছেন ব্রড। টেস্ট ইতিহাসে অ্যান্ডারসনের পর সবচেয়ে সফল পেসার তিনি। হয়তো তার সামনে সুযোগ ছিল অ্যান্ডারসনকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার।
কিন্তু ৩৭ বছর বয়সী ব্রড বলেন, 'বিভিন্ন প্রজন্মের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলে অন্তত একবারের জন্য হলেও মনে হয়েছে, আমি আর পেশাদার ক্রিকেটার নই। আমি নিশ্চিত নই, হয়তো ইংল্যান্ড যখন ভারতে যাবে কিংবা এপ্রিলে ট্রেন্টব্রিজে নটিংহ্যামশায়ার যখন মাঠে নামবে, তখন হয়তো আক্ষেপ লাগতে পারে। কিন্তু আমি এর চেয়ে ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম না। আমি যদি আরো দশ বছরও খেলে থাকি, তাহলেও এমন শেষের পুনরাবৃত্তি করতে পারতাম না। তাই এনিয়ে কোনো আফসোস নেই। '
'আমার কাছে টেস্ট জেতাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার। অজিদের কাছে হেরে বিদায় নিলে হয়তো আমি বিধ্বস্ত হয়ে পড়তাম। খেলাটিকে ভালোবেসেই বিদায় নিতে চেয়েছিলাম এবং তাতে আমি সফল হয়েছি। '
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৪
এএইচএস