প্রথম দিনেই দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই ম্যাচের স্থায়িত্ব অনুমিত করা সহজ কাজ হয়ে পড়ে। ঠিক হলোও তা-ই।
এর আগে ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ স্থায়ী হয়েছিল ৬৫৬ বল।
নিউল্যান্ডসের উইকেট পেসারদের জন্য স্বর্গ ছাড়া কিছুই না বলতে গেলে। দুই দলের দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকলেও তারা বল হাতে নেওয়ার সুযোগই পাননি। ব্যাটারদের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছেন মোহাম্মদ সিরাজ, জাসপ্রিত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদা।
তা সত্ত্বেও এমন অসম বাউন্সের উইকেটে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দেখালেন এইডেন মারক্রাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরাহর তোপে পড়ে গুটিয়ে যায় ১৭৬ রানেই। যার মধ্যে ১০৬ রানই আসে মারক্রামের ব্যাট থেকে। ১০৩ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি রাঙান ডানহাতি এই ওপেনার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ আসে অধিনায়ক ডিন এলগারের ব্যাট থেকে।
ভারতের হয়ে ৬১ রান খরচে ৬ উইকেট নেন বুমরাহ। বিদেশের মাটিতে এটি তার অষ্টম ফাইফার। ভারতীয় বোলার হিসেবে বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ ফাইফার নেওয়ার কপিল দেবকে (৯) ছুঁতে আর এক পা দূরে আছেন তিনি।
৭৯ রানের লক্ষ্য পেরোতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি ভারতের। ১২তম ওভারে খেলা শেষ করে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনে সফরকারীরা। ক্যাচ মিসের মহড়ায় তাদের খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বোচ্চ ২৮ রান এসেছে যশস্বী জসওয়ালের ব্যাট থেকে। এছাড়া রোহিত শর্মা রান ও বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন রানে। প্রোটিয়াদের হয়ে একটি করে উইকেট নেন নান্দ্রে বার্গার ও কাগিসো রাবাদা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫৫ ও ১৭৬ (মারক্রাম ১০৬; বুমরাহ ৬/৬১)
ভারত: ১৫৩ ও ৮০/৩ (জসওয়াল ২৮, রোহিত ১৭*, কোহলি ১২)
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
এএইচএস