টেস্ট অভিষেকের পর থেকেই রানের ফোয়ারা ছুটাচ্ছেন কামিন্দু মেন্ডিস। এমন একটি ম্যাচও নেই যেখানে তার কাছ থেকে অন্তত ফিফটি পায়নি শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্ট ইতিহাসে নিজের প্রথম আট টেস্টেই ফিফটি বা তার বেশি রানের দেখা পেলেন কামিন্দু। এর আগে সর্বোচ্চ ৭ টেস্টে ফিফটি করে সেই রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন পাকিস্তানের সৌদ শাকিল। এছাড়া প্রথম ছয় টেস্টে ফিফটি আছে বার্ট সাটক্লিফ, সাইদ আহমেদ, বাসিল বুচার ও সুনীল গাভাস্কারের।
কামিন্দুর কীর্তির দিনটা বেশ ভালোভাবেই কাটিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ৩০৬ রান করেছে তারা। সেঞ্চুরি পেয়েছেন দীনেশ চান্দিমাল। দিনের শেষ সেশনে থামে তার ২০৮ বলে ১৬ চারে ১১৬ রানের ইনিংস। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৭৮ ও কামিন্দু ৫১ রানে অপরাজিত আছেন।
যদিও দিনের শুরুর ওভারেই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার (১) উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। কিন্তু এরপর দিমুথ করুনারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে ১২২ রানের জুটি গড়েন চান্দিমাল। রান আউটে কাটা পড়ে ৪৬ রানে বিদায় নেন করুনারত্নে।
ম্যাথিউসের সঙ্গেও শতরানের জুটির দিকেই এগোচ্ছিলেন চান্দিমাল। কিন্তু তিন রান বাকি থাকতেই পথ হারান ডানহাতি এই ব্যাটার। গ্লেন ফিলিপসের বলে হারিয়ে ফেলেন নিজের স্টাম্প। এরপর বাকিটা সময় কামিন্দু ও ম্যাথিউস মিলে নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন।
দিনের শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে রিভার্স সুইপে চার মেরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন কামিন্দু। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টেই ফিফটি হাঁকান তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য তাকে প্রায় দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়।
গত মার্চে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আটে নেমে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন কামিন্দু। পরের টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত আছেন ৯২ রানে। আগস্টে ইংল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি। পরের দুটি টেস্টেও পান ফিফটির দেখা। সবগুলো ম্যাচেই সাতে কিংবা আটে নেমে ব্যাটিং করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
তবে ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পান কামিন্দু। সেখানে নিজেকে অবশ্য সঠিকই প্রমাণ করেন তিনি। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ১১৪ রানে। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে নিজের ফর্ম ধরে রাখেন এই বাঁহাতি। কাল সেই ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
এএইচএস