ভারতের পাওয়ার প্লের সময়টাই ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য হয়ে থাকলো সুখের। এরপরই ঝড় তোলে রানের পাহাড় দাঁঁড় করায় স্বাগতিক ব্যাটাররা।
বুধবার দিল্লিতে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বাংলাদেশকে ৮৬ রানে হারিয়েছে ভারত। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান করে স্বাগতিকরা। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুতে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত একটি ওভারের শেষ বলে গিয়ে সাফল্য পান তিনি। তার বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দেন সাঞ্জু স্যামসন। ৭ বলে ১০ রান করেছিলেন তিনি।
পরের ওভারের শেষ বলেও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার শেষ বলে অভিষেক শর্মাকে বোল্ড করেন তানজিম হাসান সাকিব। ১১ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে গিয়েও উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মিড অফে দাঁড়ানো শান্তকে ক্যাচ দেন ১০ বলে ৮ রান করা সূর্যকুমার যাদব।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৫ রান তোলে ভারত। কিন্তু এরপরও ভারতকে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। রিংকু সিং ও নিতিশ রেড্ডির ঝড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বোলাররা। রিশাদ হোসেনের করা ১০ম ওভারে ২৪ রান নেন তারা, ১৩তম ওভারে মিরাজ দেন ২৬ রান।
এরপরই অবশ্য উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। ৩৪ বলে ৭৪ রানের ঝড় তোলা নিতিশকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। ৫ রানে লিটনের হাতে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার চারটি চার ও সাতটি ছক্কা হাঁকান। ভাঙে রিংকুর সঙ্গে ৪৯ বলে তার ১০৮ রানের জুটি। এরপরও অবশ্য ভারতের ঝড় থামেনি।
এর মধ্যেও ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল তাসকিন। নিজের কোটার শেষ ওভারেও উইকেটের দেখা পান এই ডানহাতি পেসার। ইনিংসের ১৭তম ওভারে দেন স্রেফ ৩ রান। ২৯ বলে ৫৩ রান করা রিংকু সিংকে আউট করেন তাসকিন। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি।
শেষ ওভার করতে এসে তিনটি উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন, দেন ৮ রান। এতেই অবশ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড রান হয়নি। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন রিশাদ, সমান ওভারে ৫০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।
রান তাড়ায় নেমে কখনোই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে অবশ্য তারা ২০ রান তুলেছিল। কিন্তু এরপরই ছন্দপতনের শুরু। তৃতীয় ওভারে গিয়ে আর্শদীপ সিংয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বল টেনে স্টাম্পে আনেন। ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দেন ৭ বলে ১১ রান করে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আউট হন ওপেনার লিটন দাসও। বরুন চক্রবর্তীর ওভারে ১১ বলে ১৪ রান করে ফেরেন লিটন।
বলার মতো কিছু করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়ও। ৬ বলে ২ রান করে অভিষেক শর্মার বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর উইকেটে আসেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজ খেলা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ২৭ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে উঠে।
১৬ বলে ১৬ রান করে রিয়ান পারাগের বলে রবি বিষ্ণয়ের হাতে মিরাজ ক্যাচ দিলে এই জুটি ভাঙে। এরপর অনেকক্ষণ একাই লড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যদিও হাফ সেঞ্চুরি ছুতে পারেননি। ৩৯ বলে ৪১ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন তিনি। বাকি ব্যাটাররা বড় হার এড়াতে পারেননি।
বাংলাদেশ সময় : ২২৫৫ ঘণ্টা, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
এমএইচবি