আইসিসির হল অব ফেমে অন্তুর্ভূক্ত করা হয়েছে অ্যালিস্টার কুক, নিতু ডেভিড ও এবি ডি ভিলিয়ার্সকে। ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তাদের এই স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এই হল অব ফেমের ১১৩ নম্বর সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে টেস্ট ইতিহাসের সেরাদের একজন কুককে। ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে নাগপুর টেস্টে অভিষেক হয় তার। এই ম্যাচেই দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করে নজরে আসেন তিনি। সব মিলিয়ে ১৬১ টেস্ট খেলা এই ব্যাটার ৩৩ সেঞ্চুরি ও ৫৭ ফিফটিতে ১২ হাজার ৪৭৩ রান করেন। দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করা এই ব্যাটার ক্যারিয়ারে যুক্ত করেন দুটি অ্যাশেজও।
ভারতের নিতু ডেভিডকে ১১৪তম সদস্য করা হয় হল অব ফেমের। দেশের হয়ে এই নারী ক্রিকেটার ১০ টেস্টে নেন ৪১ উইকেট। এছাড়া ৯৭ ওয়ানডেতে তার উইকেটসংখ্যা ১৪১টি। ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে সবার আগে ১০০ উইকেট শিকার করা নারী ক্রিকেটার তিনিই। ১৯৯৫ সালে মেয়েদের শততম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানে ৮ উইকেট নেন নিতু। যা এখন পর্যন্ত মেয়েদের টেস্টে সেরা বোলিং। প্রাথমিকভাবে ২০০৬ সালে অবসর নিলেও পরে ফিরে ২০০৮ সালে ভারতের এশিয়া কাপ জয়ে অবদান রাখেন তিনি।
এছাড়া রঙিন পোশাকে কুক খেলেন ৯২টি ওয়ানডে ম্যাচ। ৩২০৪ রান করা এই তারকার নেতৃত্বেই ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রানার্সআপ হয় ইংল্যান্ড। এই পোশাকে ৪টি টি-টোয়েন্টিও খেলেন কুক। সাফল্যমণ্ডিত এই ক্যারিয়ারের কারণেই দারুণ এই স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
এই তালিকায় ১১৫তম সদস্য হিসেবে যুক্ত হওয়া এবি ডি বিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারও ছিল রঙিন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০ হাজারের বেশি রান করা দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটারের রয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি, দ্রুততম সেঞ্চুরি ও দ্রুততম ১৫০ রানের রেকর্ড। সব মিলিয়ে ১১৪ টেস্ট খেলে ৮ হাজার ৭৬৫ রান সংগ্রহে রয়েছে তার। এছাড়া ২২৮ ওয়ানডেতে ৯ হাজার ৫৭৭ ও ৭৮ টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার ৬৭২ রান করেন তিনি।
আগামী রোববার দুবাইয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন এক আয়োজনের মাধ্যমে নতুন এই তিন সদস্যকে স্বাগত জানাবে আইসিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
আরইউ