ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

কোচের ‘হটসিটে’ বসা সিমন্সের দর্শন কী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
কোচের ‘হটসিটে’ বসা সিমন্সের দর্শন কী

প্রশ্নটা শেষ হওয়ার পর ফিল সিমন্সের মুখে হাসি। ফটোগ্রাফারদের আগ্রহ তখন তার ছবি তুলে রাখার।

বাংলাদেশের হেড কোচ হওয়া তো সহজ কাজ নয়, প্রশ্ন সামলানো। ফিল সিমন্সই যার জায়গা নিয়েছেন, সেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বিদায় বলেছেন বিভিন্ন আলোচনা সঙ্গী করে।  

খেলোয়াড়কে ‘শারিরীক হেনস্থা’ ও বাড়তি ছুটি কাটানোর কারণ দেখিয়ে তাকে বরখাস্ত করেছে বিসিবি। শেষ কবে কোনো কোচ তার মেয়াদ শেষ করতে পেরেছে, তা খোঁজে পেতেও স্মৃতি হাতড়ে অনেক দূর যেতে হবে। এমন একটা ‘হটসিটে’ বসে কেমন চ্যালেঞ্জ দেখছেন?

উত্তরে সিমন্স বলেন, ‘সব আন্তর্জাতিক কোচের চাকরিই হটসিট। বাংলাদেশ আলাদা, পাকিস্তান আলাদা। আমার জন্য, ব্যাপারটা হচ্ছে খেলোয়াড়দের খেলার জন্য তৈরি করা ও সবকিছু উপভোগ করে ম্যাচ জেতা। সিটটা এখন হট (গরম) না। গত দুই দিন খুব ভালো গেছে। ’

হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার সংবাদ সম্মেলনেই নতুন কোচের নাম জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। এ নিয়েও প্রশ্ন আছে। ফিল সিমন্সের সঙ্গে বিসিবির যোগাযোগ কবে থেকে?  উত্তরে সিমন্স বলেন, ‘আজকে কি শনিবার? সম্ভবত আরও সপ্তাহ দেড়েক আগে পেয়েছিলাম। ’ 

সিমন্সের অবশ্য বাংলাদেশে প্রথমবার আসা নয়। এর আগেও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পর কোচ হতে এসেছিলেন বাংলাদেশে, দিয়েছিলেন সাক্ষাৎকারও। কিন্তু সেবার রাসেল ডমিঙ্গোকে বেছে নেয় বাংলাদেশ। এবার কী বদলালো? এবার সিমন্স বলেন, ‘আমি জানি না পার্থক্য কী। আমি এখানে (আগে) এসেছিলাম, কিন্তু চাকরি পাইনি। ’

‘(চাকরি নেওয়ার) আগ্রহটা এসেছে তরুণ খেলোয়াড়দের দেখে। তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের ভালোভাবে সামলেছে। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারেনি কিন্তু তারা বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি দলের বিপক্ষে খেলেছে। আপনার কিছু জিনিস নিয়ে আসতে হবে, যেটা আমি উপভোগ করি। একটা তো হচ্ছে তরুণদের উন্নতি। দ্বিতীয়ত টেস্ট ও ওয়ানডে আছে। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল না। ’

কোচিং ক্যারিয়ারে বেশ লম্বা অভিজ্ঞতাই আছে ফিল সিমন্সের। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ অবধি আয়ারল্যান্ডের হেড কোচ ছিলেন। এরপর কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে, তাদের জিতিয়েছেন বিশ্বকাপও। অভিজ্ঞতা আছে আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনির মতো দলে কাজ করারও।  

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক বড় সাফল্য পেয়েছেন, কখনও হয়েছেন ব্যর্থও। এমনিতে তার দর্শন কী? জানতে চাওয়া হয়েছিল সিমন্সের কাছে। বিভিন্ন দেশে কোচিং করানোর যে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা, সেটিও কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন সিমন্স।  

তিনি বলেন, ‘আমার দর্শন হচ্ছে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করা, এরপর ফল চলে আসবে। আমি গত কয়েকদিনে যা দেখেছি, এই ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে তাদের খেলা, স্কিল ও ফিটনেস নিয়ে। আমি খুব খুশি গত কয়েকদিন নিয়ে। ’

‘সব অভিজ্ঞতাই আমাকে সাহায্য করবে আগামী কয়েকদিন তৈরি হওয়ার জন্য। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করেছে ভাষাগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে। আয়ারল্যান্ড সাহায্য করেছে তরুণদের গড়ে তোলার ব্যাপারে। দিনশেষে এসব কিছুই চলে আসে। আমার সব অভিজ্ঞতাই এখানে কাজে লাগাতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।