আলোক স্বল্পতায় ম্যাচের ইতি ঘটে খানিকটা আগেই। আম্পায়ারদের ঘোষণার পর এগিয়ে এসে প্রোটিয়া ওপেনার টনি ডি জর্জিকে অভিবাদন জানান মুশফিকুর রহিম।
দক্ষিণ আফ্রিকাও আছে বেশ বড় সংগ্রহের পথে। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনশেষে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করেছে তারা। এতে অবশ্য শঙ্কিত নন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স। হতাশার প্রথম দিনশেষে দলের আলোচনা এখন কী? এমন প্রশ্ন ছিল তার কাছে।
উত্তরে সিমন্স বলেন, ‘এখন দলের মধ্যে আলাপ হচ্ছে, আমাদের কালকে সকালে এসে চেষ্টা করতে হবে দ্রুত উইকেট নেওয়ার। এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যেখান থেকে তাদের অলআউট করা যায়। এটার পর আমরা ব্যাট করবো...টেস্ট ম্যাচে আমরা দেখেছি, পাকিস্তানে দেখেছি একদল ৫০০ রান করলে আরেক দল ৮০০ করে এবং এরপরও ফল হয়। ’
‘এজন্য সবসময় একটা ফলের ব্যাপার থাকে। এখন আমরা ভাবনায় নিচ্ছি আজকে কী করেছি, এটা দেখে আমাদের ঠিক করতে হবে কালকে কোন জিনিসটা আলাদা করবো। দেখতে হবে কালকে আমরা আরও কিছু উইকেট পাই কি না। আপনি সবসময় আগে ভাববেন টেস্ট ম্যাচ কীভাবে জেতা যায়, এরপর অন্য কিছু। ’
প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররাই দাপট দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের জন্য প্রাপ্তি ছিল কেবল তাইজুল ইসলামের এনে দেওয়া দুই উইকেট। কিছু সুযোগ এলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ দলের কোচ কি একটু হতাশ?
সিমন্স বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারি না যে হতাশ। আমরা যতটুকু জানি, এটা অসাধারণ একটা ব্যাটিং উইকেট। আমার মনে হয় বোলাররা অনেক পরিশ্রম করেছে ও বল ভালো করেছে। কিছু সুযোগ হারিয়েছি। হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারতো, চার বা পাঁচ উইকেট। কিন্তু আপনি জানেন, এটা কঠিন দিন। আমি কঠিন দিনে মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেছি যখন এখানে ছিলাম। এজন্য আমি বলবো না হতাশ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এমএইচবি/এমএইচএম