আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথেও অভিবাদন পেলেন ট্রিস্টান স্টাবস। সেঞ্চুরি ছুঁয়ে উদযাপনের পুরোটা সময় তার জন্য করতালি ছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকেও।
আগের পাঁচ টেস্টে একটি হাফ সেঞ্চুরি ছিল। চট্টগ্রামে দ্বিতীয়বার এই মাইলফলক ছুঁয়েই সেঞ্চুরি করেছেন স্টাবস। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি, টনি ডি জর্জির সঙ্গে ২০১ রানের বড় জুটি গড়েন। প্রথম দিনশেষে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করেছে প্রোটিয়ারা। এর পেছনে পরিকল্পনা কী ছিল?
স্টাবস বলেন, ‘আমি শুরুতে সত্যিই নার্ভাস ছিলাম। টনির সঙ্গে ব্যাটিং করে ভালো লেগেছে। সে খুব শান্ত ও সাবলীল ছিল। আমি তাকে বড় কৃতিত্ব দিতে চাই। লাঞ্চের পর তার ক্র্যাম্প হয়। পুরো দিন কাটিয়ে দেওয়ার মানসিক প্রক্রিয়াটা অবিশ্বাস্য। আমরা একে অপরকে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছি, কোনো কিছুই নিশ্চিত ধরা যাবে না। দারুণ দিন ছিল তার সঙ্গে ব্যাটিং করা। ’
‘আমার ম্যাচের আগে পরিকল্পনা ছিল সুইপ করার। কিন্তু আসলে সুইপ করতে গিয়ে ভুগছিলাম। এজন্য আজকে বেশি রিভার্স সুইপই করতে হয়েছে। টনি খুব ভালো সুইপ খেলছিল। যখন এটা কাজ করে, আপনি বেশ ভালো সংকল্পবদ্ধ থাকতে পারবেন। জর্জি এটা খুব ভালো করেছে। ’
স্টাবস পরিচিতি পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবেই। দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তার চাহিদা বেশ। তবে লাল বলের ক্রিকেটেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরিও আছে। এ নিয়েও কথা বলেন স্টাবস।
ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘আমি টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত হয়েছি। আমি আসলে লাল বলের ক্রিকেটার। এটা আসলে অনেকটা মানসিক ব্যাপার। আমার প্রিয় ফরম্যাট হচ্ছে ৫০ ওভারের ক্রিকেট। আপনি অল্প খেলেই সেঞ্চুরি করতে পারবেন, আপনাকে নিয়মানুবর্তীও হতে হবে। আমি টেস্ট ক্রিকেটও পছন্দ করি। ’
বাংলাদেশ সময় : ২০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস