ঢাকা: চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে সহজ জয়ে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠেছে রংপুর রাইডার্স। ৬ ম্যাচে চার জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮।
চিটাগংয়ের দেয়া ১১২ রানের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে অতিক্রম করে রংপুর। ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য সরকার। জহুরুল ইসলাম করেন ৪৭ রান। ১ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব আল হাসান।
জহুরুল ইসলামের উইকেটটি নেন ভাইকিংস পেসার শফিউল ইসলাম।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর পরও ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১১ রান তোলে চিটাগং ভাইকিংস। হোম ভেন্যুতে ওপেনার তামিম ইকবালের ৩৬ রানের ইনিংসের পরও শেষ অবধি বড় হয়নি তাদের ইনিংস।
অথচ দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তিলকারত্নে দিলশান উইকেটে থেকে পার করেন পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভার। বিনা উইকেটে রানও ওঠে ৩৬। দু’জনই উইকেটে থিতু হয়ে আউট হন। দিলশান ১৮ আর তামিম ৩৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এ রান করতে অবশ্য তামিমকে খেলতে হয়েছে ৪৩ বল, বাউন্ডারি মাত্র দুটি। দলের স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কামরান আকমল ১২, এনামুল হক বিজয় ১৪ ও উমর আকমল ১ রান করে ফিরলে লড়াইয়ের পুঁজি গড়তে পারেনি দলটি।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে দেওয়ার পেছনে বড় কৃতিত্ব দেখান রংপুরের স্পিনাররা। সাকিব আল হাসান, আরাফাত সানি ও সাকলাইন সজীব এ তিন বাঁহাতি স্পিনার মিলে তুলেছেন প্রতিপক্ষের পাঁচ উইকেট। সাকিব ও সানি নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া সাকলাইন, পেরেরা ও নবী নেন একটি করে উইকেট।
এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে হার মানলো চিটাগং। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম লেগেও (উদ্বোধনী ম্যাচে) রংপুরের কাছে দুই উইকেটে হেরেছিল চিটাগং ভাইকিংস। ছয় ম্যাচে তাদের জয় মাত্র একটিতে। ফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে নেমে গেল বন্দনগরীর দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর
** ভালো শুরু, তামিমের ৩৬, চিটাগং ১১১!