ঢাকা: এবার অফিসিয়ালি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার নাগপুর টেস্টের উইকেটকে (পিচ) বাজে উইকেট হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইসিসি। তিনদিনেই (২৫-২৭ নভেম্বর) নিষ্পত্তি হওয়া লো-স্কোরিং ম্যাচে ১২৪ রানের জয় নিয়ে সিরিজও (২-০) নিশ্চিত করে টিম ইন্ডিয়া।
নাগপুর টেস্টে ৪০টি উইকেটের মধ্যে ৩৩টিই দখলে নেন অশ্বিন-জাদেজা-ইমরার তাহিররা। বলতে গেলে, ভারতীয় স্পিন ঘূর্ণিতেই ৯ বছর পর বিদেশের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ হারের লজ্জায় ডোবে প্রোটিয়ারা। ওই ম্যাচটির স্কোরলাইন ছিল এরকম: ভারত – ২১৫ ও ১৭৩, দ. আফ্রিকা – ৭৯ ও ১৮৫। এমনকি, ভারতে এ প্রথম টেস্ট ম্যাচে কোনো ব্যাটসম্যানই অর্ধশতকের দেখা পাননি।
ম্যাচের তিনদিন জুড়েই বলের অস্বাবাবিক টার্ন, পেস, বাউন্সে ব্যাটসম্যানরা বিভ্রান্ত হন। আম্পায়ারদের উদ্বেগের পর ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো আইসিসির কাছে নাগপুরের উইকেট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন। অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) ১৪ দিনের মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার সময়সীমা বেধে দিয়েছে আইসিসি।
উপযুক্ত প্রমানাদি যাছাই-বাছাই সহ ভিডিও ফুটেজ দেখে নাগপুরের উইকেটকে ‘যাচ্ছেতাই’ হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নেন, আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার জিওফ অ্যালারডাইস ও প্রধান ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে।
প্রসঙ্গত, নাগপুর টেস্ট শুরুর আগেই পিচ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সফরকারীরা। তখন ভারতীয় দলের পরিচালক রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, ‘নাগপুরের উইকেটে কোনো সমস্যাই নেই। এটি টেস্ট সিরিজের জন্যই তৈরী। আশা করছি, দিল্লির উইকেটও একই রকম হবে। ‘ উল্লেখ্য, আগামী ৩ ডিসেম্বর দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে চতুর্থ ও সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে।
দ্বিতীয় দিনে প্রোটিয়াদের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর ভাষ্য ছিল, ‘ভারতকে অবশ্যই বাহবা জানাতে হবে। তারা নিজেদের ভারসাম্য অনুযায়ী উইকেট তৈরি করেছে। তাই এখনই উইকেট নিয়ে সমালোচনা করছি না। ’ আর ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন মন্তব্য করেছিলেন, ‘স্পিন ও বাউন্স নিয়ে সমস্যাটা কোথায়? এটা স্পিন ও বাউন্সের জন্যই ভালো পিচ। তা নয় কি? কীভাবে খেলতে হবে তা ব্যাটসম্যানের দক্ষতার ওপরই নির্ভর করছে। ’
আর শেষ দিনে পিচ প্রসঙ্গে প্রোটিয়া হাশিম আমলা বলেন, ‘আমার ১১ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে এমন কঠিন উইকেট সম্ভবত আর দেখিনি। এই উইকেটে খেলা সত্যিই খুব কঠিন। ’ অপরদিকে, পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি, ‘আমি আগেও বলেছি, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় সঠিকভাবে খেলার জন্য যেকোনো কন্ডিশনের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে কেন এতো মাতামাতি করা হচ্ছে সেটিই আমি বুঝতে পারছি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৫
আরএম