ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বন্দরনগরীতে ক্যারিবীয় ঝড়, উড়ে গেল ঢাকা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৫
বন্দরনগরীতে ক্যারিবীয় ঝড়, উড়ে গেল ঢাকা ছবি : উজ্জ্বল ধর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ১৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ডায়নামাইটস এবং বরিশাল বুলস। ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইসের অপরাজিত শতকে কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকাকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল।



আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে বরিশালকে ১৫৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় ঢাকা। জবাবে ১৮.৪ ওভার ব্যাটিং করে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।

বিপিএলের আগের ম্যাচগুলোতে তিন নম্বরে ব্যাটিং করেছিলেন ঢাকার দলপতি কুমার সাঙ্গাকারা। মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর) বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ওপেনিংয়েই নেমে গেলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক। একে একে আসা-যাওয়া দেখেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের। তবে, সাঙ্গাকারা ঠিকই লড়ে যান প্রতিপক্ষের বোলারদের বিপক্ষে।

সৈকত আলী, লাহিরু থিরিমান্নে, নাসির হোসন ও আবুল হাসান সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর রায়ান টেন ডয়েসকাট সঙ্গ দিলেন ‘ওয়েল সেট’ সাঙ্গাকারাকে। শেষ অবধি সাঙ্গাকারার ৬০ ও টেন ডয়েসকাটের অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংসে ভর করে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ঢাকা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দলটির লড়াইয়ের পুঁজি পেতে সহায়ক ছিল পঞ্চম উইকেট জুটিটি। এ জুটি থেকে আসে মূল্যবান ৫৯ রান।

বিপিএলে সাঙ্গাকারা এ দিন তুলে নেন টানা দ্বিতীয় অর্ধশতক। মিরপুরে আগের ম্যাচে সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

বরিশালের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন সেকুজে প্রসন্ন। চার ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে নেন দু’টি উইকেট। কেভিন কুপারও নিয়েছেন দু’টি উইকেট। অপর উইকেটটি নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

১৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল ওপেনিং জুটি থেকেই রনি তালুকদার আর ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস তুলে নেন ১২৭ রান (১৩.৪ ওভারে)। ডয়েসকাটের করা ১২তম ওভারে তিনটি ছক্কা আর দুটি চারে ২৭ রান তুলে নেন বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইস।

ইনিংসের ১৪তম ওভারে বিদায় নেন রনি তালুকদার। আবুল হাসানের বলে থিরিমান্নের তালুবন্দি হওয়ার আগে রনি ৩৪ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৩৮ রান।

আরেক ওপেনার লুইসের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০১ রান। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬৫ বলে ৭টি চার আর ৬টি ছক্কায়। তার শতকটি বিপিএলের এবারের আসরের প্রথম শতক। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এ শতকের মধ্যদিয়ে লুইস এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। মুস্তাফিজুর রহমানের করা ১৮তম ওভারের শেষ বলটিতে সিঙ্গেল নিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেন লুইস।   ৬৪ বলে শতক পূর্ণ করেন তিনি।

অপরপ্রান্তে মেহেদি মারুফ ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/আরএম/এমআর

** ঢাকার হয়ে লড়লেন সাঙ্গাকারা-ডয়েসকেট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।