ঢাকা: বরিশাল বুলসকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিপিএলে শেষ চারে ওঠার লড়াইয়ে টিকে রইলো সিলেট সুপারস্টারস। সাত ম্যাচে এটি দ্বিতীয় জয় সিলেটের।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে দলটি। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না যোগ করেই মোহাম্মদ সামির বলে আউট হন ওপেনার দিলশান মুনাবেরা। তবে আর কোনো উইকেট খোয়াতে দেননি টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা জুনায়েদ সিদ্দিকী। ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাকে সঙ্গ দেন তরুণ ক্রিকেটার নুরুল হাসান। ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন নুরুল।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে ক্রিস গেইল ও ইভান লুইস-এ দুই ক্যারিবীয়ানকে নামিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল বরিশাল বুলস। এ স্বস্তি অবশ্য নিমেষেই মিলিয়ে দেন সিলেট সুপারস্টারসের বোলাররা। মিরপুরে চার-ছক্কার মারকাটারি ক্রিকেট প্রদর্শন দূরে থাক, উইকেটে ঠিকমতো দাঁড়ানোরই সুযোগ দেননি বোপারা-রুবেলরা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ইভান লুইস ও ক্রিস গেইল সাজঘরে ফিরলে দিক হারায় বরিশাল। এরপর আর পথ খুঁজে পায়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। রুবেল হোসেন, রবি বোপারার বিধ্বংসী বোলিংয়ে অসহায় আত্মসমর্পন করে বরিশালের ব্যাটসম্যানরা।
বরিশাল ইনিংসের ইভান লুইস আর মোহাম্মদ সামি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। বাঁহাতি ওপেনার ব্যাটসম্যান লুইস করেন ১২ রান। আর পাকিস্তানের পেসার সামির ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১৬ রান।
রবি বোপারা চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। নিজের করা তৃতীয় ওভারেই তোলেন এ তিন উইকেট। ওই ওভারের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে ফেরান সাব্বির রহমান, প্রসন্ন ও মেহেদি মারুফকে।
রুবেল হোসেন, শহিদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ শহীদ নেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট নেন সোহেল তানভির।
** ৫৮তেই গুটিয়ে গেল বরিশাল
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর