ঢাকা: দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করল দক্ষিণ আফ্রিকা। রোববার (০৬ ডিসেম্বর) ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টের চতুর্থ দিনে পঞ্চাশ ওভারে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৯ রান।
এর আগের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ৬৮ রানের । এটিও প্রোটিয়াদের দখলে। ২০০৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পঞ্চাশ ওভারে স্কোরবোর্ডে এ পরিমান রান তোলে দ. আফ্রিকা।
কাকতালীয়ভাবে চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৭২ ওভারে ৭২ রান। রান রেট ১.০০। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের করা দিনের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে চার মেরে ওভার সমান রান দাঁড় করান এবি ডি ভিলিয়ার্স (৯১ বলে ১১ অপা.)। জয়ের জন্য শেষদিনে সফরকারীদের আরো ৪০৯ রান করতে হবে। হাতে রয়েছে ৮ উইকেট। উল্লেখ্য, চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি ইতোমধ্যেই ২-০ তে জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
শুধুমাত্র দলীয় সংগ্রহেই নয়, ধীরগতির পার্টনারশিপ সহ ও সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেটের রেকর্ডে নাম লেখায় দ. আফ্রিকা।
কমপক্ষে ১৭৫ বলের হিসেবে ধীরগতির পার্টনারশিপের রেকর্ড গড়েন হাশিম আমলা ও ডি ভিলিয়ার্স। এমন পরিসংখ্যানে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দু’জনের স্ট্রাইকে রেট ছিল ০.৭৮। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানেও প্রোটিয়ারা। গত বছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ০.৯১ স্ট্রাইক রেটে ২৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন কাইল অ্যাবোট ও ডি ভিলিয়ার্স।
অন্যদিকে, কমপক্ষে ২০০ বলে সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেটের পরিসংখ্যানে শীর্ষে ওঠে আসেন অামলা। ২০৭ বল মোকাবেলায় ২৩ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। স্ট্রাইক রেট ১১.১১! এর আগে এমন রেকর্ড গড়েছিলেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান জ্যাক রাসেল। ১৯৯৫ সালে জোহানেসবার্গে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তিনি ১২.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ২৯ রানে অপরাজিত থেকে রেকর্ডের পাতায় নাম লেখান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৫
আরএম