মিরপুর থেকে: সিলেটের বিপক্ষে স্পিন দিয়েই আক্রমণ সাজিয়েছিলেন রংপুরের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আস্থার প্রতিদান হাতে হাতেই দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি।
প্রথম ওভারেই দিলশান মুনাবেরাকে ফিরিয়ে শুরুতে স্পিন-আক্রমণের যথার্থতা বুঝিয়ে দেন সানি। এরপর তোলেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেনের উইকেট। তার অসাধারণ বোলিং স্পেলে ৫৯ রানেই গুটিয়ে যায় শহীদ আফ্রিদির সিলেট সুপারস্টারস। ৪ ওভারে ১৪ রানে চার উইকেট নেন রংপুরের এ স্পিনার। বিপিএলে প্রথমবারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কারও হাতে ওঠে আরাফাত সানির।
ম্যাচ শেষে জানালেন ওপেনিংয়ে বোলিং করা চ্যালেঞ্জের হলেও উপভোগ করেন তিনি, ‘টি-টোয়েন্টিতে ওপেন বল করার সুবিধা হলো সিঙ্গেলস বের করা খুব কঠিন। চার-ছয় হয়তো হবে, না হয় ডিফেন্স করতে হবে। এই জিনিসটা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমি দারুণভাবে উপভোগ করতে পেরেছি। যে দিন আমার ভাগ্য খারাপ থাকবে সেদিন হয়তো আমি অনেক রান দিব। যে দিন ভালো করবো সেদিন হয়তো বোলিং স্পেল সুন্দর হবে। ’
সানি মনে করেন লাইন-লেন্থ সঠিক হওয়াতেই সাফল্য ধরা দিয়েছে, ‘টি-টোয়েন্টিতে একটা বোলার যতবেশি ডট বল করতে পারবে ব্যাটসম্যান তত প্রেসারে থাকবে। রান করার জন্য মারতে গেলে আউট হওয়ার পসিবিলিটি বেশি থাকে। আমার সবসময় প্ল্যান থাকে, এক জায়াগায় বল করবো। এতেই সাফল্য পেয়েছি। ’
চার উইকেট নিয়ে বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি এখন আরাফাত সানি। ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আবু হায়দার রনির সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে সানি। সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে এক নম্বর অবস্থানে রংপুরের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫
এসকে/এমআর