ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘ওই রকম পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে মজা লাগে’

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
‘ওই রকম পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে মজা লাগে’ ছবি:উজ্জল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়াম থেকে: দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন রোববারের (৩১ জানুয়ারি) ম্যাচে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। গত ম্যাচের মতো দলের দুই উইকেট দ্রুত পড়ে যাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে এসে আবারও জমিয়ে ব্যাটিং করলেন।

এবার হাফ সেঞ্চুরিতে থামেননি। করে এলেন সেঞ্চুরি। আর এ সেঞ্চুরিতে ভর করে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে গেল দ্বিতীয় রাউন্ডে।

যারা রোববারের বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচের খবরাখবর রেখেছেন তারা নিশ্চিত এতক্ষণে বুঝে গেছেন কাকে নিয়ে এত কথা। হুম, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়েই কথা।

তার সেঞ্চুরিতে ভর করে দল কোয়ার্টারে পৌঁছাল, যুবাদের ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন, টানা দ্বিতীয় বারের মত ম্যান অব দা ম্যাচ হলেন- আজ তো শান্তকে অনেক কথাই বলতে হবে। সাংবাদিকদের নিরাশ করেননি বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ক। তিনি যেন মাঠের চেয়ে সাংবাদিকদের বুম-রেকর্ডারের সামনে আরও দুর্দান্ত।

প্রথমেই আজকের দিনটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কয়েক লাইনে শান্ত বললেন, ‘দিনটি খুবই স্পেশাল। কারণ, সেকেন্ড রাউন্ডে উঠেছি আমরা। আমি সেঞ্চুরি করেছি, আগের ম্যাচে যেটা হয়নি। টিম জিতেছে। সো, দিনটি খুবই স্পেশাল। ’

দ্রুত কয়েকটা উইকেট পড়ে যাওয়ার পর পরবর্তী ব্যাটসম্যান পিচে গিয়ে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা নার্ভাস থাকেন। হাত-পা’য়ে কাঁপন ধরে যায় কারও কারও। কিন্তু শান্ত’র যেন সেটা সয়ে গেছে। এরকম পরিস্থিতিতেই উইকেটে গিয়ে রানের ফোয়ারা বইয়ে দিচ্ছেন।

নমুনা লাগবে?
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই পরিস্থিতিতে নেমে ৭৩ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিক একই পরিস্থিতিতে নেমে ১১৩ নট আউট।

এতটা আত্মবিশ্বাস আসে কোথা থেকে এমন প্রশ্নে শান্তর উত্তরটা দেখেন- ‘যখন এরকম পরিস্থিতি আসে মজাই লাগে। কারণ, সবসময় এরকম পরিস্থিতি আসে না। চেষ্টা করি যখন এরকম পরিস্থিতি আসে টিমকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে। ’

এরকম পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে পারা নিজের জন্য ভালো দিক উল্লেখ করে বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ক বলেন, ‘এর আগেও যখন এরকম পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করেছি, ভালো ফিনিশিং করতে পারিনি। এখন ফিনিশিং করতে পারছি। এটা আমার ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগবে। আর এরকম পরিস্থিতিতে গিয়ে ভালো ইনিংস খেললেই বুঝতে পারি আমি ভালো ব্যাটসম্যান। ’

ব্যক্তিগত রেকর্ড নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘রেকর্ডর বিষয়টা জানতাম না আগে। গতকালই জেনেছি এ বিষয়টি। ওটা মাথায় ছিল। রেকর্ড করতে পারায় ভালো লাগছে। আমার আব্বা আম্মাও এটি নিয়ে খুব খুশি হয়েছেন। ’

শান্ত’র রেকর্ডটা হওয়ার পর তার চেয়ে মিরাজকেই বেশি উল্লসিত দেখা গেছে। একবার না, দু’বার সহ অধিনায়ককে অভিবাদন জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন।

এ বিষয়ে শান্ত’র জবাব, ‘আমি যখন রেকর্ডটা করে ফেলি তখন মিরাজ অনেক ইমোশনাল হয়ে যায়। মনে হলো যেন রেকর্ডটা ওই করেছে। ও সবসময় আমাকে এভাবে সাপোর্ট করে। ’

রেকর্ড করেছেন বাউন্ডারি হাকিয়ে, সেঞ্চুরিও সেভাবে। বিষয়টি ধরিয়ে দিতেই শান্তর সাহসী জবাব, ‘বল অনুযায়ী ব্যাটিং করেছি। আর সেঞ্চুরির কথা ভাবিনি। কারণ ওই সময় ওভার কম ছিল। আমি বাজে বল পেয়েই বড় শট নিলাম। ’

উইকেটটা কঠিন ছিল উল্লেখ করে শান্ত বলেন, ‘উইকেট কঠিন থাকায় আমি প্রথম দিকে উইকেটে গিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি/আরএম

** দাপুটে জয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত টাইগার যুবাদের
** যুব ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান টাইগার শান্তর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।