ঢাকা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধের বিষয়টি বেশ চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে। তাইতো এবার সচেতনভাবেই ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অর্থ সংক্রান্ত সকল আইন মেনেই খেলোয়াড়দের চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।
আগামীকাল (১০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স বাই চয়েজ ভিত্তিতে ডিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্লেয়ার্স ড্রাফট কমিশনার হিসেবে পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করবেন বিসিবির সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম।
শনিবার দুপুরে প্লেয়ার্স কন্ট্রাক্ট নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আইসিসির পূর্ন সদস্য দেশ। আমরা পেশাদারিত্বে বিশ্বাস করি। এ জন্য প্রতিটি প্লেয়ারের চুক্তি বাধ্যতামূলক। সেক্ষেত্রে দেশের যে প্রচলিত আইন আছে তা মেনে চলতে হবে। ট্যাক্সসহ আরও যে ধরনের নিয়ম রয়েছে তা মানতে হবে। প্রচলিত আইন মেনেই প্লেয়ার্স কন্ট্রাক্ট করবো।
মাহবুব আনাম আরও যোগ করেন, ‘প্রতিটি ক্লাবকে বিসিবির কাছে একটা সংরক্ষিত চেক দিতে হবে। যাতে প্লেয়ার্স পেমেন্ট নিশ্চিত হয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমাদের লিস্ট ‘এ’ ক্যাটাগরির ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। এখানে বিসিবির দায়বদ্ধতা রয়েছে প্লেয়ার ও ক্লাবের প্রতি- যাতে সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে খেলাগুলো হয়।
ইতোমধ্যে প্লেয়ার বাই চয়েসের জন্য ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকও নির্ধারিত হয়েছে। মোট আটটি ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের ভাগ করা হয়েছে।
সেগুলো হচ্ছে-আইকন, ‘এ প্লাস’ গ্রেড, এ গ্রেড, বি প্লাস গ্রেড, বি গ্রেড, সি গ্রেড, ডি গ্রেড ও ই গ্রেড। আইকন ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা, ‘এ’ প্লাস গ্রেড ২৫ লাখ, ‘এ’ গ্রেড ২০ লাখ, ‘বি’ প্লাস গ্রেড ১৫ লাখ, ‘বি’ গ্রেড ১২ লাখ, ‘সি’ গ্রেড ৮ লাখ, ‘ডি’ গ্রেড ৫ লাখ এবং ‘ই’ গ্রেড সাড়ে তিন লাখ টাকা করে পাবেন।
ক্রিকেটাররা তাদের পারিশ্রমিক পাবেন তিনটি ধাপে। দল পাওয়ার পর ৩০ শতাংশ, সুপার লিগের আগে ৩০ শতাংশ এবং বাকি ৪০ শতাংশ লিগ শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ০৯ এপ্রিল, ২০১৬
এসকে/এমএমএস