ঢাকা: পার্থ টেস্টের দুই দিনে পতন হয়েছে ২২ উইকেটের। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া আর সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা প্রোটিয়ারা এগিয়ে ১০২ রান।
লো-স্কোরিং দুই দলের প্রথম ইনিংস দলীয় আড়াইশো রানের দেখা পায়নি। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা সবক’টি উইকেট হারিয়ে তোলে ২৪২ রান। জবাবে, ভালো শুরু করলেও ২৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় অজিরা। মাত্র ২ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। জবাবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা দ. আফ্রিকা দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তুলেছে। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ রান।
আগে ব্যাট করা দক্ষিণ আফ্রিকা অজিদের পেস আক্রমণে দিশেহারা হয়। দলীয় ৩২ রানেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে হারায় প্রোটিয়ারা। ওপেনার স্টিফেন কক ০, ডিন এলগার ১২, হাশিম আমলা ০, জেপি ডুমিনি ১১ রান করে বিদায় নেন। দলপতি ফাফ ডু প্লেসিসের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
৫১ রান করেন তেমবা বাভুমা। সাত নম্বরে নামা কুইন্টন ডি কক খেলেন ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। ১০১ বল মোকাবেলা করে ডি কক তার ইনিংসটি ১১টি চার আর একটি ছক্কায় সাজান।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক, তিনটি উইকেট পান জস হ্যাজেলউড, দুটি উইকেট লাভ করেন নাথান লিওন আর একটি উইকেট নেন পিটার সিডল।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথমদিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ১০৫ রান তোলে। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ৬২ বলে ১৩টি চার আর একটি ছক্কায় ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। আরেক ওপেনার শন মার্শ ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামা এই অপরাজিত দুই ওপেনার দলীয় সংগ্রহ ১৫৮’তে নিয়ে যান। মার্শ ৬৩ রানে বিদায় নিলেও ওয়ার্নার খেলেন ৯৭ রানের দারুণ এক ইনিংস।
এরপরই ভেঙে পড়ে অজিদের ব্যাটিং লাইনআপ। উসমান খাজা ৪, স্টিভেন স্মিথ ০, অ্যাডাম ভোজেস ২৭, মিচেল মার্শ ০, পিটার নেভিল ২৩, মিচেল স্টার্ক ০, পিটার সিডল অপরাজিত ১৮ রান করেন।
সফরকারী প্রোটিয়াদের হয়ে চারটি উইকেট নেন ভারনন ফিল্যান্ডার। তিনটি উইকেট দখল করেন কেশব মহারাজ আর দুটি উইকেট পান কেগিসো রাবাদা। একটি উইকেট নেন ডেল স্টেইন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রোটিয়া ওপেনার স্টিফেন কক ১২ রানে বিদায় নেন। হাশিম আমলা ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন। আরেক ওপেনার ডিন এলগার ৪৬ রানে এবং চার নম্বরে নামা জেপি ডুমিনি ৩৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
** পার্থে অজিদের দিন
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ০৪ নভেম্বর ২০১৬
এমআরপি