ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

সাব্বির-স্যামিদের টার্গেট ১৬২

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৬
সাব্বির-স্যামিদের টার্গেট ১৬২ ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৬তম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বরিশাল বুলসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬১ রান। দলের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান ডেভিড মালান।

মিরপুর থেকে: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৬তম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে নির্ধারিত ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বরিশাল বুলসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬১ রান। দলের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান ডেভিড মালান।

টস জিতে মুশফিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। বরিশালের হয়ে ব্যাটিং শুরু করেন ডেভিড মালান এবং জীবন মেন্ডিস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ফেরান বরিশালের ওপেনার জীবন মেন্ডিসকে। ফরহাদ রেজার তালুবন্দি হওয়ার আগে মেন্ডিস ৮ বলে ৬ রান করেন। দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল।

এরপর জুটি গড়েন ডেভিড মালান এবং ফজলে মাহমুদ। দুর্দান্ত গতিতে টেনে নিয়ে চলেন বরিশালকে। ৭১ বলে স্কোরবোর্ডের আরও ১০০ রান যোগ করেন তারা। ইনিংসের ১৪তম ওভারে বিদায় নেন ডেভিড মালান। রানআউট হওয়ার আগে তিনি মিরপুরে ছোটো ঝড় তোলেন। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর তিনটি বিশাল ছক্কার মার। দলীয় ১০৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। একই ওভারের শেষ বলে ফরহাদ রেজা ফেরান ফজলে মাহমুদকে। ৪৩ বলে চারটি চার আর দুটি ছক্কায় ফজলে মাহমুদ করেন ৪৩ রান।

ইনিংসের ১৯তম ওভারে বিদায় নেন মুশফিক। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। মোহাম্মদ সামির বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ৮ রান করা মুশফিক। পেরেরার ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২৯ রান। তার ২২ বলের ইনিংসে ছিল চারটি চার আর শাহরিয়ার নাফিস ৬ বলে দুই ছক্কায় ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। গত ১৩ নভেম্বর দু’দলের প্রথম সাক্ষাতে চার রানের জয় পেয়েছিল বরিশাল। ১৯৩ রানের লক্ষ্যে সাব্বির রহমানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে (৬১ বলে ১২২) ছয় উইকেটে ১৮৮ করতে সমর্থ হয় রাজশাহী।

সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে বরিশাল এখন পর্যন্ত সবচেয়ে তলানির দল। ১০ ম্যাচ খেলে দলটি মাত্র তিন জয়ের বিপরীতে সাতটিতেই হেরেছে। যেখানে তাদের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। ফলে এ আসরে মুশফিক-নাফিস-তাইজুলদের টিকে থাকার আর কোনো আশা নেই বললেই চলে।

অন্যদিকে মোটামুটি ভালো অবস্থানে আছে ড্যারেন স্যামির নেতৃত্বে থাকা রাজশাহী কিংস। এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলে পাঁচ জয়ের বিপরীতে সমান ম্যাচে হেরেছে তারা। যেখানে মিরাজ-সাব্বির-মুমিনুলদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১০ পয়েন্ট। আর লিগ টেবিলে তাদের অবস্থান চারে। তবে এ ম্যাচ জিতে তৃতীয়স্থানে থাকা খুলনা টাইটান্সকে পেছনে ফেলার সুযোগ রয়েছে দলটির।

দু’দলই নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে। তাদের বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে চলতি মৌসুমে প্রথম থেকেই ধুঁকতে থাকা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ ম্যাচে রাজশাহীকে হারিয়ে প্রথমবার ষষ্ঠস্থানে উঠে আসে মাশরাফির দল। লিগ টেবিলে শীর্ষে আছে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৬
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।