ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

খুলনার প্লে-অফের অপেক্ষা বাড়ালো কুমিল্লা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
খুলনার প্লে-অফের অপেক্ষা বাড়ালো কুমিল্লা ছবি: শোয়েব মিথুন-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিপিএলের শেষদিকে এসে ছন্দ খুঁজে পাওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিকার এবার খুলনা টাইটান্স! মাশরাফিদের টানা তিন জয়ের বিপরীতে টানা তিন হারে খুলনার প্লে-অফ নিশ্চিতের অপেক্ষাটাও বাড়লো।

মিরপুর থেকে: বিপিএলের শেষদিকে এসে ছন্দ খুঁজে পাওয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের শিকার এবার খুলনা টাইটান্স! মাশরাফিদের টানা তিন জয়ের বিপরীতে টানা তিন হারে খুলনার প্লে-অফ নিশ্চিতের অপেক্ষাটাও বাড়লো। মারলন স্যামুয়েলসের ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৪২ রানের লক্ষ্যটা পাঁচ উইকেট ও আট বল হাতে রেখেই টপকে গেছে কুমিল্লা।

ম্যাচ সেরা স্যামুয়েলসকে যোগ্য সঙ্গ দেন লিটন দাস। এ তরুণ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ১১ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ক্যারিবীয় ব্যাটিং জিনিয়াসের ব্যাট থেকে ছক্কা মিস করেন দর্শকরা। ৮টি চারের সাহায্যে তিনি ৫৭ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজান। ‍

টুর্নামেন্টের প্রথম দেখায় হারের প্রতিশোধটাও সেরে নিল কুমিল্লা। যদিও তাদের বরিশাল বুলসের মতোই প্লে-অফে ওঠার আর কোনো সুযোগ নেই। গত ১৩ নভেম্বরের ম্যাচটিতে ১৩ রানের জয় পেয়েছিল খুলনা।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। স্বদেশী পেসার জুনাইদ খানের বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন পাকিস্তানি ওপেনার আহমেদ শেহজাদ (০)। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করেন ইমরুল কায়েস ও মারলন স্যামুয়েলস।

দলীয় পঞ্চাশ রানের মাথায় ইমরুলকে (২০) শুভাগত হোমের ক্যাচে বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন শফিউল ইসলাম। ১২ রান যোগ হতেই মোশাররফ হোসেনের বলে নিকোলাস পুরানের গ্লাভসে আটকা পড়েন খালিদ লতিফ (৩)।

লতিফের বিদায়ে স্যামুয়েলসের সঙ্গী হন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট হাতে ঝড়ই তোলেন কুমিল্লা দলপতি। ১৩তম ওভারে বেনি হাওয়েলের বলে শুভাগত হোমের হাতে ধরা পড়ার আগে ১১ বলে তিন ছক্কায় ২০ রানের কার্যকরী ইনিংস উপহার দেন। ১৫তম ওভারে হাওয়েলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪)।

এর আগে প্লে-অফ নিশ্চিতের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মাঝারি পুঁজি পায় খুলনা। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ছয় উইকেটে ১৪১। দুর্দান্ত বোলিংয়ে খুলনার রানের লাগাম টেনে ধরেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

মাহমুদউল্লাহ ৪০ ও বেনি হাওয়েল ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে ওপেনার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের ব্যাট থেকে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটিংয়ে পাঠান মাশরাফি। দলীয় আট রান তুলতেই উইকেট হারায় খুলনা। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই রিকি ওয়েসেলসের (৪) স্ট্যাম্প ভেঙে কুমিল্লাকে ব্রেকথ্রু এনে দেন পেসার মোহাম্মদ শরিফ।

পাওয়ার প্লে শেষে সপ্তম ওভারে বোলিং প্রান্তে আসেন মাশরাফি। প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আব্দুল মজিদ (১৮)। দ্বিতীয় ওভারেও কাছাকাছি গিয়েছিলেন। চতুর্থ বলটি ছুঁয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর স্ট্যাম্প। নবম ওভারটিতে আসে মাত্র ১ রান।

নিজের তৃতীয় ওভারে এসে আবারো উইকেট উদযাপনে মাতেন কুমিল্লা দলপতি। এবার হাসানুজ্জামানকে (২৯) লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন। বিরতি না নিয়ে টানা বোলিং করে যান তিনি।

বোলিং স্পেলের শেষ ওভারেও (১৩তম) পান সাফল্য। নিকোলাস পুরানকে (১৪) ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করেন মাশরাফি। চার ওভারে ১৬ রান খরচায় তুলে নেন তিনটি উইকেট। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে চাপের মুখেই পড়ে খুলনা। ১৬তম ওভারে দলীয় একশ’ পার করে তারা।

১৭তম ওভারে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান তরুণ আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান। ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন আরিফুল হক (১৩)। পরের ওভারেই শুভাগত হোমকে (২) রশিদ খানের ক্যাচবন্দি করেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

অাগামী ৪ ডিসেম্বর (রোববার) নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে কুমিল্লা। একই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে নামবে খুলনা।

সাত দলের পয়েন্ট টেবিলে বরিশালকে হটিয়ে আবারো ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে কুমিল্লা। ১১ ম্যাচ শেষে দু’দলের পয়েন্টই সমান ৮। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানেই খুলনা। দুই পয়েন্ট পিছিয়ে চার নম্বরে রাজশাহী কিংস।

১০ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা ঢাকার সংগ্রহ সাত জয় ও তিন হারে ১৪। দুই পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ে চিটাগং ভাইকিংস। ১০ পয়েন্টে পাঁচে রংপুর।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৬
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।