চলতি আসরে পিটারসেনের দল স্টারস প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় পার্থ স্কোচার্সের বিপক্ষে। তবে সে ম্যাচে সাত উইকেটের বড় ব্যবধানে হারতে হয় তাদের।
এই হারের ফলে এবারের আসরেও শিরোপা জেতা হলো না মেলবোর্নের দলটির। অথচ তারা বিগ ব্যাশের আভিজাত ক্লাব। এখন পর্যন্ত ছয়টি আসরের প্রতিটিতেই শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দলটিল।
কিন্তু এমন কোনো কিছুই আমলে না নিয়ে কেপির পেছনে পড়েছেন লেহম্যান। এক টুইটে তিনি জানান, ‘কেপিকে এখনই ছেটে ফেলার সময় এসেছে। তার জন্য প্রচুর টাকা লগ্নি করা হচ্ছে, অথচ জিততে পারছে না। তার কোনো অযুহাতই শুনতে চাই না। ’
৩৬ বছর বয়সী পিটারসেন অবশ্য মেলবোর্নের হয়ে এবার নিয়ে টানা তিন মৌসুমেই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। চলতি আসরে করেছেন ২৬৮। গত দুই মৌসুমে টুর্নামেন্টেরই দ্বিতীয় ও তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন।
এদিকে কেপি লেহম্যানের বিপরীতে কোনো মন্তব্য না করলেও স্টারসের প্রেসিডেন এক হাত নিয়েছেন। তিনি পিটারসেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কেপির দল যেখানে সন্তুষ্ট, লেহম্যানই বা এত খেপলেন কেন? এর একটা কারণ হতে পারে গত সপ্তাহে পিটারসেনের একটি মন্তব্য। গত শনিবার মার্কাস স্টয়নিসকে একাদশে চেয়েছিলেন স্টারস। স্টয়নিস অস্ট্রেলিয়া দলে থাকলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না। কেপি মন্তব্য করেছিলেন, হোটেলে নিজের রুমে বসে না থেকে বিগ ব্যাশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটা খেলতেই পারতেন স্টয়নিস। হয়তো এটাই ভালো লাগেনি লেহম্যানের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস