নির্ধারিত ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ৩৬৯ রানের পাহাড় গড়েছে অজিরা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে তিন রানের জন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারলেন না ওয়ার্নার-হেড জুটি।
অন্তত আরও দুই রান করলে যৌথভাবে বিশ্ব রেকর্ডটির মালিক হতে পারতো ওয়ার্নার-হেড জুটি। ব্যক্তিগত ১৭৯ রান করে জুনায়েদ খানের বলে আউট হন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার। অবশ্য নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ওডিআই ইনিংস খেললেন তিনি। ২০১৫ ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৭৮ ছিল তার পূর্বের সর্বোচ্চ স্কোর।
আরও সাত রান করতে পারলে অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসের মালিক হতেন ওয়ার্নার। ২০১১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে রেকর্ডের মালিক শেন ওয়াটসন। ২০০৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮১ করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ম্যাথিউ হেইডেন। ওয়ার্নারের ইনিংসটি রয়েছে তৃতীয়স্থানে। চতুর্থটিও তার অধীনে।
ক্রিকেট বিশ্ব এই জুটিতে দেখেছে অনেক রেকর্ড। তার মধ্যে আরেকটি ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি। আগের রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে-উপল থারাঙ্গা জুটির। ২০০৯ সালের আগস্টে ২০২ রান করেছিলেন তারা।
এদিকে যে কোনো জুটিতে বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় ওয়ার্নার-হেড জুটি পঞ্চমস্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রথমে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭২ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে শচীন টেন্ডুলকার-রাহুল দ্রাবিড় (৩৩১), তৃতীয় স্থানে সৌরভ গাঙ্গুলি-দ্রাবিড় (৩১৮), চতুর্থ স্থানে থারাঙ্গা-জয়সুরিয়া (২৮৬)।
ওয়ার্নারের ১৭৯ রান আসে মাত্র ১২৮ বলের মাধ্যমে। যেখানে ছিল ১৯টি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার। স্ট্রাইক রেট ১৩৯.৮৪। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ওডিআইতে এখন পর্যন্ত ছয়টি সেঞ্চুরি করেছেন ওয়ার্নার। ২০১৪-১৫ মৌসুমে সমান ছয়টি সেঞ্চুরি এর আগে করেছিলেন লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা।
ওয়ার্নারকে ওপেনিংয়ে দারুণ সঙ্গ দেওয়া ট্রাভিস হেড এদিন তুলে নেন ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। ২০তম ওডিআইতে ২৩ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ১৩৭ বলে নয় চার ও তিন ছক্কায় ১২৮ করেন। উসমান খাজাকে বিশ্রাম দেওয়ায় এ ম্যাচে ওপেনিংয়ে সুযোগ পান হেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস