এ ম্যাচটিতে প্রতিদিন ৯০ ওভার করে খেলা হবে। দু’দলই একবার করে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবে।
হায়দ্রাবাদের জিমখানা গ্রাউন্ডে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার সময় চার উইকেট হারিয়ে ৯২ রান করে টাইগাররা। সে সময় দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করে লড়েছেন সৌম্য। তবে ব্যক্তিগত ৫২ রানে আউট হন এ বাঁহাতি।
দলীয় ৪৪ রানের মাথায় দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে হারায় সফরকারীরা। তামিম ১৩ রানে আনিকেত চৌধুরীর বলে বোল্ড হন। আর ব্যক্তিগত ৪ রানে চামা মিলিন্দের বলে হার্দিক পান্ডেকে ক্যাচ দেন কায়েস।
পরে ক্রিজে এসে সতর্ক থেকে খেলতে থাকেন সৌম্য সরকার। তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুল হক। তিনি আনিকেতের দ্বিতীয় শিকার হয়ে পাঁচ রানে ফেরেন। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন গত নিউজিল্যান্ড সফরে সতীর্থের ইনজুরিতে দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য। ৭৩ বলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করে শাহবাজ নাদিমের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন।
দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত ২৩ রানে কুলদিপ যাদবের বলে আউট হন এ ডানহাতি। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পার্টনারশিপ বড় করতে থাকেন মুশফিক। সাব্বির রহমানকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৭১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মুশফিক।
মুশফিক বিদায় নেন ৫৮ রান করে। তার ১০৬ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার আর একটি ছক্কার মার। সাব্বির ৬৮ বলে ৫টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৩ রান করেন। ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম। কোনো রান না করেই ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
৬৭ ওভারে ২২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে ১২ ওভারে ২৬ রান খরচায় চারটি উইকেট তুলে নেন আনিকেত চৌধুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস/এমআরপি