আগামীর মুশফিক-তামিম-সাকিব গড়বার লক্ষ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন গেম এডুকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রাশেদ ইকবাল।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশেই বিসিবির একাডেমি মাঠে হচ্ছে লেভেল ওয়ান কোচদের প্রশিক্ষণ। তাদের বেশিরভাগই প্রথমশ্রেণির ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিলেন। রাশেদ ইকবালের তত্ত্বাবধানে চলছে ২৬ জন নবীন কোচের প্রশিক্ষণ কাজ। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের নিয়োজিত করা হবে বিভিন্ন জেলায়।
বাংলানিউজের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় গেম এডুকেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রাশেদ ইকবালের সঙ্গে। তিনি লেভেল থ্রি’র কোচ এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে কোচিং বিদ্যার উপর কোর্স করে এসেছেন। এখানে লেভেল ওয়ান ও টু’র কোচদের প্রশিক্ষণ করান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, খেলোয়াড়ী ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে, শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকবে। পাঁচ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ হচ্ছে। আমরা এর থেকে ভালো কোচ বের করবো। এখান থেকে বের হয়ে তারা বিভিন্ন জেলায় কাজ করবেন। এরপর আমরা তাদের কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য জেলায় জেলায় যাবো। পরবর্তীতে আবার ডাকবো, তাদের অগ্রগতি দেখে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।
বাংলাদেশের কোচের সীমাবদ্ধতা নিয়ে তিনি জানান, একজন কোচকে সবকিছু জানতে হয়। তাকে খেলা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখতে হবে। নতুন নতুন তথ্য আসলে তা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। এটি একটি সৃজনশীল কাজ। তাই তাদের এটা নিয়ে গবেষণা করতে হয়। তার ওপর নিত্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে হবে। সবসময় চর্চার মধ্যে থাকতে হয়। তাহলেই ভালো ভালো খেলোয়াড় বের করতে পারবে তারা। আমার বিশ্বাস তারা কিছু ভালোমানের খেলোয়াড় বের করবেই।
কোচিং প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন জাতীয় ক্রিকেট নারী দলের সাবেক খেলোয়ার শামীমা সুলতানা। তিনি কোচ হতে চান। মেয়েদের তুলে আনতে চান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছেলেদের দল ভালো করছে। অনেক আগে থেকেই ছেলেদের খেলার জগত শুরু হয়। কিন্তু একটা মেয়েকে খেলতে হলে ছেলেদের সঙ্গে প্রাকটিস করতে হয়। অনেক পরিবার এটা চায় না। তাই মেয়েদের ভালো পরিবেশ দিয়ে ভালোমানের খেলোয়াড় বের করতে কোচিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। ’
২০০৪ সালের জাতীয় দলের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছেন রোবায়েত হক। কোচ হিসেবে নিজেকে দেখতে চান তিনি। জানান, ‘আমি খেলোয়াড় হিসেবে টপ লেভেলে যেতে পারিনি। জানি কি জন্য যেতে পারিনি। আমি যে ভুল করেছি সেটা ধরিয়ে দিতে পারবো আগামীর খেলোয়াড়দের। তাদের ক্রিকেটীয় ভাষা, শারীরিক ভাষা শেখাতে পারবো। ভবিষ্যতের সাকিব-তামিমদের বের করতে পারবো। ’
ভালো কোচ হতে হলে প্রচুর পরিশ্রমের প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন মুরাদ খান। তিনিও ২৬ জনের একজন। বলেছেন, ‘একজন ভালো কোচকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। কোচিং লাইনে উন্নয়ন না হলে ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে না। ’
একজন কোচ প্রথমে ডিস্ট্রিক্ট কোচ হিসেবে কাজ শুরু করবেন। এখান থেকে দক্ষতা দেখিয়ে হবেন ডিভিশনাল কোচ। সেখান থেকে দক্ষতা দেখিয়ে হবেন ডিভিশনাল হাই পারফরম্যান্স কোচ। সেখান থেকে ডিভিশনাল হেড কোচ। ভালো করলে ন্যাশনাল একাডেমি কোচ। এখানে ভালো করলে ন্যাশনাল একাডেমি স্পেশালিস্ট কোচ। এরপর ন্যাশনাল একাডেমি সিনিয়র কোচ। এরপর ন্যাশনাল একাডেমি হেড কোচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
জেএইচ/এমআরপি