মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এক সময়ের নির্ভরতার প্রতীক, গোলরক্ষক কাজী ইকরামুল বাশার তুহিন পাকস্থলির ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন অনেক দিন ধরেই। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
গত বছর মে মাসে ক্যান্সার আক্রান্ত ইকরামুল বাশারকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। গত ১৫ মে দুপুরে ইকরামুল বাশারকে দেখতে তার লালমাটিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও তাসকিন আহমেদ। এ সময় তারা সমাজের বিত্তবান ও ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িতদের ইকরামুল বাশারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফুটবলের মাঠে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছেন কাজী ইকরামুল বাশার। পাকস্থলির ক্যান্সার কেড়ে নেয় কুষ্টিয়ার বিখ্যাত কাজী পরিবারের সন্তানের স্বাভাবিক জীবন। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত মোহামেডানে থেকে অবশ্য খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। ফরাশগঞ্জের হয়েও খেলেছিলেন তিনি।
গত বছরের জানুয়ারিতে তার শরীরে ক্যান্সারের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। ঢাকার একটি হাসপাতালে অপারেশনের পরও তা সেরে উঠেনি। মরণব্যাধি ক্যান্সার ধরা পড়ে সাবেক এ ফুটবলারের। প্রয়োজন ছিল উন্নত চিকিৎসার। বড় ভাইকে বাঁচাতে নিরন্তর ছুটে বেড়িয়েছেন জাতীয় দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এমআরপি