কোহলিও চটে গেলেন। অনেকটা বিরক্ত হয়েই বললেন, প্রশ্নটি শুনতে শুনতে আমি বিরক্ত।
অবশ্য সাংবাদিকদেরও কিছুই করার থাকে না। কেননা দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করে তাতে এমন করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
যাই হোক একই প্রসঙ্গে কোহলি আরও বলেন, ‘আপনাদের কাছে ম্যাচটি নিয়ে উত্তেজনার পারদ উপরে অবস্থান করলেও আমাদের কাছে বিষয়টি ঠিক এরকম নয়। আমরা ভাবছি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে এই ম্যাচসহ অন্যান্য ম্যাচগুলোতে কিভাবে আমরা আমাদের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। তাছাড়া একটি টুর্নামেন্টে তো আর একটি ম্যাচই কঠিন থাকে না তাই না?’
এসময় গণমাধ্যম মাধ্যকর্মীরা এই ম্যাচ নিযে কোহলির কাছে ভারতের বোলিং লাইনআপ নিয়ে জানতে চাইলে কোহলি বলেন, ‘ছেলেরা খুবই ভালো বল করছে। পুরো ইউনিট খুবই ভারসাম্যপূর্ণ তবে এই ম্যাচের আগে আমরা উইকেটটি দেখে নিতে চাই। সেটা করতে পারলে কয়জন স্পিনার ও পেসার নিয়ে আক্রমণ সাজাবো সেই কাজটি সহজ হয়ে যেত। ’
একথা সর্বজনবিদীত যে ভারতের এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনারের নাম বিরাট কোহলি। সেটা যে কোনো দলের বিপক্ষে। হোক সেটা সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্ট; সব ম্যাচেই কোহলিই যেন ভারতের আস্থার মূর্ত প্রতীক। অন্য দিকে তিনি আবার ভারতের অধিনায়কও।
তাই তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ম্যাচ উইনার ও অধিনায়কত্ব একসাথে এই দুইটি বিভাগ চালিয়ে যাওয়া কতটা সহজ? কোহলির প্রতিক্রিয়া, ‘যখন আপনি এমন দায়িত্বে থাকবেন তখন আপনাকে দুটোই করতে পারতে হবে। তাছাড়া আমি এই দুইটি কাজ কখনই চাপ নিয়ে করি না। বরং এটা আমার জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠে আমি ঠিকই অধিনায়ক। আর মাঠের বাইরে একজন সুস্থ মানুষ। এভাবেই আমাকে ভাবতে হয়। ’
এরপর রসিকতা করে বললেন, ‘দেখেন, কাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ তারপরেও আমি স্বাভাবিকই আছি। ’
স্থানীয় সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ৩ জুন, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম