দুই চিরবৈরী এই দু’দলের এবারের দ্বৈরথটি অবশ্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। রোববার (৪জুন) বার্মিংহামের এজবাস্টনে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায়।
একথা অনস্বীকার্য যে, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যকার তুলনামূলক শক্তিমত্তা ও মাঠের কৌশল বিবেচনায় পাকিস্তানের চেয়ে ঢের এগিয়ে ভারত। একদিকে কোহলি, ধোনি, ধাওয়ান, যুবরাজ, রোহিতকে নিয়ে গড়া পিরামিডসম ব্যাটিং অর্ডার।
অন্যদিকে আছে ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও জাসপ্রিত বুমরার মতো ক্ষুরধার বোলিং লাইনআপ। পাশাপাশি কোহলির বীরোচিত অধিনায়কত্ব তো আছেই।
তাই সব মিলিয়ে গত টি-২০ বিশ্বকাপের অনুরূপ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও পাকিস্তানকে হারাতে কোহলির নেতৃত্বধীন দলটি যে আরেকবার মরিয়া হয়ে উঠবে সেকথা অনায়াসেই বলা যায়।
তবে ম্যাচটি নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না ভারত দলপতি কোহলি। বরং দেখছেন অন্য আট দশটি ম্যাচের মতই।
শনিবার (৩ জুন) বার্মিংহামে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তেমন কিছুরই আভাস দিয়ে বললেন, ‘আপনাদের কাছে ম্যাচটি বিশেষ কিছু হলেও আমার কাছে কিন্তু অন্য আট দশটি ম্যাচের মতই। আমি বাড়তি কিছুই ভাবতে চাইছি না। ’
তবে কোহলি ম্যাচটি নিয়ে বাড়তি কিছু ভাবতে না চাইলেও পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার কিন্তু ম্যাচটির জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচটি জিততেও তিনি বেশ আগ্রহী বলে মনে হলো, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিকে সামনে রেখে আমরা এখানে গত ১২ দিন যাবত অবস্থান করছি। এখানকার কন্ডিশন আমরা যতটুকু সম্ভব বুঝেছি। তাছাড়া ইংল্যান্ডে আসার আগে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটিও বেশ ফলপ্রসূ ছিল। ছেলেরা ভালো করেই জানে কার কি কাজ। ম্যাচটি জিততে আমরা প্রস্তুত’।
বিগত দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যকার দ্বৈরথ লক্ষ্য করলে অবশ্য পাকিস্তানের পাল্লাটিই ভারী। কেননা ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১২৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৭২টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান। আর ভারতের সুযোগ মিলেছে ৫১ বার। যদিও ক্রিকেটে পরিসংখ্যান শুধুই কাগজে কলমে হিসেবের জন্য। তারপরেও আনপ্রেডিকটেবল পাকিস্তান বলে কথা!
স্থানীয় সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, ৩ জুন ২০১৭
এইচএল/এমআরএম