এর প্রায় এক দশক পর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সরফরাজ আহমেদদের ১২৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দলটির বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডটি নিজেদের করে নিল বিরাট কোহলিরা।
হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে একাধিকবার বৃষ্টি হানা দেয়ার পর ৪৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৩১৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় ভারত।
পরে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে সরফরাজদের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১ ওভার থেকে ২৮৯ রান। যা টপকাতে গিয়ে ৩৩.৪ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
দলের হয়ে একমাত্র আজহার আলীই যা খেললেন (৫০ রান)। বাদবাকি কেউই ভারতের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না।
ভারতের হয়ে বল হাতে উমেশ যাদব ৩টি, হার্ডিক পান্ডিয়া, জাদেজা ২টি করে আর ভুবনেশ্বর নিয়েছেন ১টি উইকেট।
ভারতের কাছে এত বড় ব্যববধানের হারে দারুন হতাশ পাক কোচ মিকি আর্থার। বার্মিংহামে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘আমি খুবই হতাশ। কেননা খুব সাধারণ কিছু ভুলের জন্যই আমরা ম্যাচটি জিততে পারিনি। যেমন, ছেলেরা কিছু ক্যাচ মিস করেছে, দলের রানিং বিটুইন উইকেট ভাল ছিল না, কিপারের কাছে থ্রো-গুলো ঠিক ছিল না। তাছাড়া আমাদের বোলিং ভেরিয়েশনেও দৈন্যতা দেখা গেছে। ’
এসময় পাক কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয় ফিট থাকা সত্ত্বেও মোহাম্মদ হাফিজকে কেন বল দেয়া হল না?- উত্তরে তিনি বললেন, আমার জানামতে হাফিজ পুরোপুরি ফিট ছিল। তারপরেও কেন তাকে বোলিং দেয়া হল না এটা আমি বলতে পারবো না।
সংবাদ সম্মেলনে প্লেয়ারদের প্রসঙ্গ যখন এলো তখন কোচ আর্থার টেনে আনলেন ওয়াহাব রিয়াজের প্রসঙ্গ। বললেন, ‘রিয়াজ বলেছিল সে পুরোপুরি ফিট। ম্যাচের আগে সে ফিটনেস পরীক্ষা দিল সেখানে প্রমাণ হল ঠিকই। কিন্তু দেখেন ও কিন্তু ম্যাচটি খেলতে পারেনি। তারমানে ও শুধু এই ম্যাচের জন্যই ফিট ছিল। ফলে সে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। ’
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অ্যাবসেন্ট হার্ট থাকায় মাঠে নামা হয়নি ওয়াহাব রিয়াজের।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৭
এইচএল