জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা এই আসরের শুরুর দিকে ম্যাচ খেললেও আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ আর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ দিতে চলে গেলে পরের দিকের ম্যাচগুলো খেলতে পারেননি। তারপরও দেশে থাকা টাইগার ব্যাটসম্যানরা এতোটুকু উত্তেজনা কমতে দেননি এই আসরের।
আবাহনীর তারকা ব্যাটসম্যান লিটন দাস এই মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৫২ রান করেছেন। ১৪ ম্যাচ খেলে ৫৩.৭১ গড়ে তিনি এই রান করেন। আর সবার থেকে এ মৌসুমে লিটনের স্ট্রাইক রেটটাও দেখার মতো। সর্বোচ্চ ১০৮.৯৮ স্ট্রাইক রেটে লিটন ৬৯০ বল মোকাবেলা করে করেছেন ৭৫২ রান। শতক হাঁকিয়েছেন দুটি আর অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ৫বার। তার ব্যাট থেকে ৭৯টি বাউন্ডারির পাশাপাশি ২৩টি ওভার বাউন্ডারির মার দেখা গেছে। সর্বোচ্চ বাউন্ডারি মারায় লিটনকে টপকে যেতে পারেননি আর কেউ। তবে, সর্বোচ্চ ৩৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে লিটনের উপরে শেখ জামালের জিয়াউর রহমান। ২২টি ছক্কা গাজীর ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের।
১৬ ম্যাচ খেলে ৬৪১ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক প্রাইম দোলেশ্বরের ইমতিয়াজ হোসেন। একই দলের মার্শাল আইয়ুব তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৩২ রান করেছেন। চতুর্থ স্থানে ৬১১ রান করে আছেন প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার মেহেদি মারুফ আর ৬০০ রান করে পঞ্চম স্থানে দোলেশ্বরের শাহরিয়ার নাফিস।
বাকিরা ১৬টি করে ম্যাচে ব্যাট করলেও লিটন দুটি ম্যাচ কম খেলেই সর্বোচ্চ রান করেছেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ১৩৬ রানও করেছিলেন। তবে, ১৩৮ বলে ১৭টি চার আর ১০টি ছক্কায় ১৯০ রান করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মোহামেডানের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। এটিই এই আসরের ইনিংস সর্বোচ্চ রান। ইনিংসে ১৫৭ রান করেছিলেন তামিম আর ১৫২ রান করেছিলেন মুমিনুল হক।
তবে, এবারের আসরে চমক দেখিয়েছেন নাসির হোসেন। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে যাওয়ায় খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। মাত্র ৮ ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৬ বারই আউট হননি। অবাক করা ২৪০ গড়ে ৫০৬ বল মোকাবেলা করে নাসির করেছেন ৪৮০ রান। ৯৪.৮৬ স্ট্রাইক রেটে নাসিরের ব্যাট থেকে এসেছে দুটি সেঞ্চুরি আর তিনটি হাফসেঞ্চুরি। অপরাজিত ১৩৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসও খেলেছেন। ৪৭টি চারের পাশাপাশি ১৩টি ছক্কাও হাঁকিয়েছেন নাসির।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ০৬ জুন ২০১৭
এমআরপি