গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে মোকাবেলা করতে মঙ্গলবার (৬ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় লন্ডনের টিম হোটেল থেকে কার্ডিফের পথে রওনা হয় মাশরাফি বাহিনী। তিন ঘণ্টা বাস ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কার্ডিফে পৌঁছানোর কথা ছিল সাকিব-মুশফিকদের।
কার্ডিফ পৌঁছে দুই দিনের অনুশীলন শেষে ৯ জুন বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল।
এর আগে ১ জুন গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে কেনিংটন ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। এরপর ৫ জুন একই ভেন্যুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টি বাধায় পণ্ড হলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুই দল। মাত্র ১৮২ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য অবশ্য সৌভাগ্যই বয়ে আনে।
এর ফলে দুই ম্যাচ শেষে ‘এ’ গ্রুপ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। ২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া। ২ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা স্বাগতিক ইংল্যান্ড ইতোমধ্যে সেমি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে ২ ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে গ্রুপের অপর দল নিউজিল্যান্ড।
সেমিতে উঠতে হলে বাংলাদেশের সামনে এখন ‘মাস্ট উইন গেম’। তবে নিউজিল্যান্ড ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে ভেসে যায় তবুও সেমিতে কোয়ালিফাই হতে পারে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ন্যূনতম ২১ রানের ব্যবধানে অথবা ৪৭ ওভারের মধ্যে জিততে হবে ইংল্যান্ডকে।
এই কার্ডিফেই আবার বাংলাদেশের উজ্জ্বল একটি স্মৃতি রয়েছে। ২০০৫ সালে হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে সেবার প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে এই মাঠেই হারিয়েছিল টাইগাররা। অজিদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত সেই একটি জয়ই রয়েছে লাল-সবুজের। তবে এবার কিউই মিশন। যেখানে গত আয়ারল্যান্ড সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এসেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এমএমএস