আর এর ব্যবস্থাপনায় ছিল স্থানীয় ক্রিকেট সংস্থা গ্ল্যামারগান। শুধু এই ম্যাচটিই নয়, আয়োজক শহরটির শিশুরা ১২ জুন কার্ডিফে অনুষ্ঠেয় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচেও একই সুযোগ পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে স্কুল শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ম্যাচ দেখার এমন ব্যবস্থা শুধুমাত্র ওয়েলশেই করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুন) ম্যাচ শুরুর আগে ও কিছু পরে দেখা গেল কার্ডিফ ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বাইরে হাজার হাজার শিশু সংঘবদ্ধ হয়ে মাঠে প্রবেশ করছে। আইসিসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে স্ব স্ব স্কুলের শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এসেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের এই মহাযজ্ঞে সামিল হতে।
তাছাড়া এখানে আসতে পেরে শিশুদের মাঝেও আনন্দ উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কুল থেকে সোজা খেলার মাঠে এসে যেন ওদের খুশি আর ধরছে না। তাই লাইনে দাঁড়িয়েই গান গেয়ে, লাফালাফি করে ওরা ওদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে যাচ্ছিলো।
বিনামূল্যে শিশুদের জন্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে জানতে বাংলানিউজ কথা বলেছিল স্থানীয় ক্রিকেট সংস্থা গ্ল্যামরগানের মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন ম্যানেজার মার্টিন বিকনেলের সাথে।
বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরে বিকনেল জানালেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ গ্লামারগান ক্রিকেটের সাথে আইসিসি নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতেই ওয়েলশের স্থানীয় চার হাজার স্কুল শিশুদের বিনামূল্যে এই ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছে আইসিসি। ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে ক্রিকেটের উৎসাহ উদ্দীপনা আরও বাড়িয়ে দিতে এবং বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের সম্প্রসারণের জন্যই মূলত আইসিসি এমন উদ্যোগ নিয়েছে। ’
আজকের শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত। আজ যে শিশুরা এখানে খেলা দেখতে এসেছে আগামীতে তাদের ভেতর থেকেই হয়তো বেরিয়ে আসবে ইংলিশদের অ্যালিস্টার কুক, ইয়ন মর্গান, জনি বেয়ারস্টোরা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রিকেটের প্রভূত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে শিশুদের নিয়ে আইসিসি ও গ্লামারগান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এমন উদ্যোগ নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবীদার।
স্থানীয় সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ৯ জুন ২০১৭
এইচএল/এমআরপি