শিহরণ জাগানিয়া এক বোলিং স্পেলে লণ্ডভণ্ড করে দেন কিউইদের স্বপ্ন-সাধ।
নিজের ছেলের এমন পারফরমেন্সে মুখে হাসি ফুটেছে মা হোসনে আরা বেগমের (৩৫)।
ছেলের সাফল্য আমার মুখেও হাসি ফুটিয়েছে। দোয়া করি ও যেন সব সময় দলের জয়ে এমন ভূমিকা রাখতে পারে। ’
মোসাদ্দেকের মায়ের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল শুক্রবার (৯ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর কাঁচিঝুলি গোলাপজান রোডের বাসায়।
তার খানিক্ষণ আগেই নিউজিল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
ব্যাটিংয়ে বিভিন্ন সময়ে দলের জয়ে কার্যকরী ইনিংস উপহার দিলেও বোলিংয়ে বেশ নিষ্প্রভ ছিলেন মোসাদ্দেক। মাঠের বাইরেও থাকতে হয়েছে। সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন এ তরুণ ক্রিকেটার। যখন হাতের মুঠোয় এলো সেই সুযোগ, তখন কাজে লাগিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ক্যাপ্টেন ম্যাশকে।
বল হাতে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পান সাফল্য। পরপর ফিরিয়ে দেন নেইল ব্রুম ও কোরি অ্যান্ডারসনকে। সঠিক সময়ে এভাবে মোসাদ্দেক জ্বলে না উঠলে হয়তো কিউইদের সংগ্রহ আরও বড় হতে পারতো।
নিজের পরের ওভারে আবারো কিউইদের ব্যাটিং দুর্গে আঘাত হানেন দেশের শততম টেস্টে অর্ধশতক হাঁকানো এ ক্রিকেটার।
এবার তার শিকারে পরিণত হন ২৩ রান করা জেমস নিশহাম। তাকে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত করে নিউজিল্যান্ডের তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
ছেলের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে মা হোসনে আরা বেগমের আনন্দ যেন বাঁধ ভেঙেছে। ‘খেলার শুরু থেকেই টিভি সেটের সামনে বসে ছিলাম। আজ ছেলেটা যখন বল হাতে তুলে নিলো তখন আমার মন বলছিলো ও আজ ভালো কিছু করবে। ঠিক তেমনি করেও দেখিয়েছে। ’
এ-ও জানালেন, পাড়ার অনেকেই এসে তাদের বাসায় বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দেখেছে। এ তালিকায় ছিলো স্বজনেরাও। মোসাদ্দেকের বোলিং সবারই মন কেড়েছে।
এ কারণেই কিনা দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে উচ্ছ্বসিত তার পরিবারের সদস্যরাও। মোসাদ্দেকের ছোট ভাই মোসাব্বির হোসেন মুনও ক্রিকেটার।
ময়মনসিংহ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন এসট্রো ফার্মার হয়ে। ভাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুন বাংলানিউজকে বলেন, ভাইয়ার হাতে ভেল্কি আছে। আজ আবার গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমএএএম/এএ