ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে সেমিতে পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৭
শ্রীলঙ্কাকে বিদায় করে সেমিতে পাকিস্তান ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। শেষ চারের টিকিট কেটেছে সরফরাজ আহমেদের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। আর গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিল লঙ্কানরা।

এদিকে, ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের সঙ্গী বাংলাদেশ। বিদায় নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড।

‘বি’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমি নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারত। শেষ দল হিসেবে সেমিতে উঠলো পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেমিতে মুখোমুখি হবে ভারতের আর পাকিস্তানকে লড়তে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

সোমবার (১২ জুন) গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পাকিস্তান দলপতি সরফরাজ আহমেদ। বাঁচামরার ম্যাচে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে ব্যর্থ হয় লঙ্কানরা। কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনসে আমির-জুনায়েদ-হাসান আলীদের বোলিং নৈপুণ্যে ৪ বল বাকি থাকতে ২৩৬ রানে থামে তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলা। জবাবে, ৪৪.৫ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে পাকিস্তান।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা একটা পর্যায়ে ১৬৭ রানে সাত উইকেট হারিয়ে বসে। অষ্টম উইকেটে লাকমল-গুনারত্নের ৪৬ রানের জুটিতে দলীয় স্কোর দুইশ’ পার হয়। সুরাঙ্গা লাকমল ২৬ ও আসিলা গুনারত্নে ২৭ রান করে আউট হন। ৯ রানে অপরাজিত থাকেন লাসিথ মালিঙ্গা। ম্যাথিউস-ডিকওয়েলার চতুর্থ উইকেট জুটি (৭৮) ভাঙার পরই যেন লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপে হঠাৎ ছন্দপতন! দ্রুত আরও তিনটি উইকেট হারিয়ে সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজই ফেলে দেয় লঙ্কানরা।

টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ম্যাচে এসে উইকেটের দেখা পান মোহাম্মদ আমির। দু’টি উইকেট লাভ করেন। তিনটি করে নেন জুনায়েদ খান ও হাসান আলী। এ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ দুই উইকেট নিয়ে আলো ছড়িয়েছেন। ৩২তম ওভারে ম্যাথিউসকে (৩৯) বোল্ড করে অপেক্ষার ইতি টানেন আমির। স্কোর তখন ১৬১। পরের ওভারেই ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (১) সরফরাজ আহমেদের গ্লাভসবন্দি করেন জুনায়েদ। এর পরের ওভারে আবারো আমির ঝলক। এবার তার শিকার সেট ব্যাটসম্যান ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েলা (৭৩)। সরফরাজের গ্লাভসে আটকা পড়েন তিনি।

এর পরের ওভারে এসে আবারো উইকেট উদযাপনে মাতেন জুনায়েদ। বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই থিসারা পেরেরাকে (১) বাবর আজমের ক্যাচবন্দি করেন। টানা চার ওভারে চারটি উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় লঙ্কানরা। ৬ রানের মধ্যে ৪টি উইকেটের পতন ঘটে। ৩ উইকেটে ১৬১ থেকে ৭ উইকেটে ১৬৭! এর আগে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দানুশকা গুনাথিলাকাকে (১৩) শোয়েব মালিকের ক্যাচ বানিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন জুনায়েদ। কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে ৫৬ রানের পার্টনারশিপে রানের চাকা সচল রাখেন ডিকওয়েলা। দলীয় ৮২ রানের মাথায় হাসান আলীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিস (২৭)। এক রান যোগ হতেই দিনেশ চান্দিমালকে ফিরিয়ে সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যমণি বনে যান অভিষিক্ত ফাহিম আশরাফ।

২৩৭ রানের লক্ষ্যে ওপেনিং জুটিতে ৭৪ রান তোলেন পাকিস্তানের আজহার আলী ও ফখর জামান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে ফেরেন জামান (৩৬ বলে ৫০)। এরপর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ছন্দ হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৯২ রানে নুয়ান প্রদীপের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন বাবর আজম (১০)। ৩ রান যোগ হতেই থিসারা পেরেরার বলে প্রদীপের হাতে ক্যাচ তুলে দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ (১)। দলীয় ১১০ রানের মাথায় বিদায় নেন ৩৪ রান করা আজহার আলি। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় বিদায় নেন শোয়েব মালিক (১১)।

এরপর দ্রুত বিদায় নেন ইমাদ ওয়াসিম। দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় পাকিস্তানের ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে ফেরেন ফাহিম আশরাফ। ১৬২ রানে ৭ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর জুটি গড়েন দলপতি সরফরাজ আহমেদ এবং মোহাম্মদ আমির। এই জুটিতেই জয়ের পথে থাকে পাকিস্তান। তারা দু’জন অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৭৫ রান যোগ করে। সরফরাজ ৭৯ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর ৪৩ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন আমির। লঙ্কানদের নুয়ান প্রদীপ তিনটি উইকেট দখল করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, ১২ জুন ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।