হাতুরু জানান, কোনো বাড়তি ভাবনা নেই, নেই কোনো চাপ। বরং ম্যাচটির আগে তার শিষ্যরা যথেষ্টই স্বাভাবিক রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) এজবাস্টনের মিডিয়া কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন কোচ হাতুরুসিংহে।
তিনি বলেন, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগেই আমি বলেছিলাম এই টুর্নামেন্টে ইতিবাচক যাই পাই না কেন সেটা আমাদের অর্জন বলেই গণ্য করবো। সেমিফাইনালে উঠেছি, এটা কম পাওয়া নয়। এখন দেখি ম্যাচটি জিততে পারি কিনা। তবে আমরা ম্যাচটিকে বিশেষ কোনো ম্যাচ হিসেবে দেখছি না। বরং অন্য আট-দশটি ম্যাচের মতোই দেখছি, যেখানে আমরা জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী।
সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ আজ যে অবস্থানে এসেছে এর পেছনে মূল কারণ কী? টাইগার কোচের কিছুটা নিরুত্তাপ জবাব, আপনারা হয়তো দেখেছেন গত তিন বছরে আমার দল বেশ এগিয়েছে। এই বদলে যাওয়ার পেছনে মূল অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। সেখানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টি আসার পর আমরা ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের উপর গুরুত্বারোপ করি। সেখানেও সফল হয়েছি। এরপর গত একবছর আমাদের পরিকল্পনায় ছিল বিদেশের মাটিতে টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভালো খেলা। আর সেই কাজটি করতে পেরেছি বলেই আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে খেলছি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বার্মিংহামের এজবাস্টনে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
ভারতের সাবেক খেলোয়াড়, অনেক সমর্থক যখন ভারত ফাইনাল খেলছে ধরে নিয়ে মিডিয়ায় ‘উঁচু’ গলায় কথা বলে নিজেদের হালকা করতে চাইছে তখন ঠান্ডা মস্তিস্কে নিজেদের অবস্থান জানান দিলেন টাইগার কোচ।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে শচীন, দ্রাবিড়, শেবাগের মতো তারকাখচিত দলকে হারানোর সুখস্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের। আরে ঘরে মাঠে ভারতকে তো রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেছে ছেড়েছে টাইগাররা। ভারত হয়তো ভুলে থাকতে চাইছে সেসব। তারা হয়তো এটাও ভুলে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে এখন ৠাংকিংয়ে এগিয়ে লাল-সবুজের দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
এইচএল/এএ