কিন্তু তাদের জন্য দুসংবাদ হল পকেটে পাউন্ড থাকা সত্বেও তারা প্রিয় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক এই ম্যাচটি মাঠে বসে দেখতে পারছেন না। কেননা প্রতিপক্ষ ভারতের সমর্থকেরা ইতোমধ্যেই এই ম্যাচের ১৫ হাজার টিকিট কিনে নিয়েছেন।
স্টেডিয়াম সূত্রে জানা গেছে, বার্মিংহামে বাংলাদেশের চাইতে তুলনামূলকভাবে ভারতীয় নাগরিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের জন্য টিকিটের বরাদ্দ বেশি রাখা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৩ জুন) স্টেডিয়াম চত্বরে দেখা গেল টিকিটের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকরা ঘুরছেন। স্টেডিয়ামের বাইরে কর্মরত নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে টিকিটের জন্য অনুনয় করছেন। যেন একটি টিকিটের জন্য তাদের আকুতির শেষ নেই। টিকিট নেই তো কিভাবে দেবে? তাছাড়া স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা রক্ষীরাতো আর টিকিট বিক্রি করেন না। ম্যাচের দিন হয়তো এদিক সেদিক করে দু’একটি টিকিট তারা বিক্রি করতে পারেন।
তাই উপায়হীন হয়ে তার তাদের পরামর্শ দিচ্ছিলো আইসিসি অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে। আগ্রহী ক্রেতারা বলছিলেন ‘অনলাইনে টিকিট নেই। ’ প্রত্যুত্তরে তারা বললেন, ‘আপনারা ভেতরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারেন। ’ একবুক আশা নিয়ে তারা স্টেডিয়ামের ভেতরে গিয়ে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে আসছেন।
এর মধ্যে অবশ্য ভাগ্যবান এক টাইগার সমর্থককে পাওয়া গেল। যার হাতে ‘সোনার হরিণ’ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচের টিকিট। নাম, কামাল হোসেন। সিলেটে জন্মেছেন, বার্মিংহামে ট্যাক্সি চালান। ৩২৫ পাউন্ড দিয়ে তিনি টিকিটটি কিনেছেন যার বাংলাদেশের টাকায় মূল্য দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ১শ টাকা।
জানতে চাইলাম, নির্ধারিত দামেই কিনেছেন? বললেন, হ্যাঁ। টিকিট প্রসঙ্গে আরও বললেন, ‘সর্বনিম্ন মূল্য ৭৯ পাউন্ড আর সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪শ পাউন্ড। তবে ম্যাচ শুরু হয়ে গেলে এই দাম আর থাকবে না। দেখবেন গ্যালারি থেকে এসে অনেকেই কম দামে টিকিট বিক্রি করে দিচ্ছে। ’
মনে মনে বলতে লাগলাম তাও ভালো। অন্তত বাংলাদেশের কিছু সমর্থক তাদের প্রিয় দলকে গ্যালারিতে বসে উৎসাহ যোগানোর সুযোগ পাবেন।
স্থানীয় সময়: ০১০১ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এইচএল/বিএস