ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

টাইগারদের প্রশংসায় হার্সা ভোগলে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
টাইগারদের প্রশংসায় হার্সা ভোগলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হার্সা ভোগলে

বার্মিংহাম থেকে: ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেট সাংবাদিক ও ধারাভাষ্যকার হার্সা ভোগলের চোখে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এক কথায় ‘ওয়ান্ডারফুল’। তাছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে টাইগাররা নিজেদের শতভাগ যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই উঠেছে বলে মত তার।

মাশরাফিদের স্বপ্নের সেমিফাইনাল যাত্রায় বৃষ্টির অবদান ছিল মাত্র ১ভাগ বাদবাকি সবই লাল-সবুজের দলগত সাফল্য বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

হার্সা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের সেমিফাইনালের পথে বৃষ্টির অবদান মাত্র ১ভাগ।

বাকি ৯৯ ভাগই তাদের প্রচেষ্টা। দেখেন, সফলতা পেতে ভাগ্যের সঙ্গে সঙ্গে আপনার নিজের চেষ্টাও থাকতে হবে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ওরা চেষ্টা করেছে বলেই আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে। ’

আইসিসি’র যে কোনো বড় আসরেই হার্সার দেখা মেলে। শেষ তার দেখা মিলেছিলো গত বছর আইসিসি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতে।

যা হোক, মঙ্গলবার (১৩ জুন) এজবাস্টনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাথুরু সিংহের সংবাদ সম্মেলন করে বাইরে ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছি। হঠাত দেখি হার্সাও বেরিয়ে আসছেন। দেখা হতেই পরিচয় পর্ব সেরে যখন জানতে পারলেন আমরা বাংলাদেশি সাংবাদিক তখন তিনি নিজে থেকেই কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করলেন।

তার কথার শুরুটা ছিল, সেমিফাইনালে খেলতে পেরে নিশচয় ভাগ্যবান ভাবছো? আমরা যথারীতি হ্যাঁ সুচক উত্তরে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়লাম। কি মনে হয় ভারত জিতবে? উত্তরটা দিলেন খুবই হিসেবে কসে। ‘কিভাবে বলি বলো? ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেতো বলার উপায় নেই। ’ বলেই হাসি।

হার্সা ভীষণ আমুদে মানুষ। মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে। তাই যতক্ষণ ছিলেন হেসেই কথা বললেন। আমাদের ট্যুর কেমন হচ্ছে জানতে চাইলেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলশের এক শহর থেকে আরেক শহরে ঘোরাঘুরিতে ক্লান্ত কী না সেটাও জানতে চাইলেন। আমরাও তাকে যতটুকু সম্মান প্রদর্শন করা যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করলাম।

এমনই হাসিখুশি আর আমুদে কথোপকথনের মধ্যে আবার হার্সার কাছে জানতে চাইলাম, ধরো যদি বৃষ্টি ভারতকে হারিয়ে দেয়? আবার হার্সার বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর, ‘বৃষ্টি হলে হবে। বৃষ্টি ভয় করে লাভ কী বলো? তাছাড়া বৃষ্টিতে বাংলাদেশ হারতে তো পারে। ’ আবার হাসি।

এরপর অবশ্য আর বেশিক্ষণ দাঁড়ালেন না। তার গাড়ি আমাদের অদূরে অপেক্ষা করছিলো। হাসিমাখা মুখে আমাদের বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন।

স্থানীয় সময়: ০১৪২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এইচএল/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।